মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ফোরাম এসোসিয়েশনের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও এজিএম অনুষ্ঠিত
দেশ গড়ার প্রত্যয়ে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ফোরাম এসোসিয়েশন কর্তৃক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ র্মাচ) কুয়ালালামপুরের "দারুল এহসান ক্লাব" এ "এম বি এফ এ”- র সভাপতি প্রফেসর ডা. মো: আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ নূরুল মাওলার পরিচালনায় এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই বার্ষিক সাধারন সভায় সংগঠনের কার্য পরিধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংগঠনের নেতারা। সভায় সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন সাধারন সম্পাদক শাকিল আহমেদ ও সহ সভাপতি আহমেদ সামি, সানা-র নাম ঘোষণার পাশাপাশি সংগঠনের নব নিযুক্ত সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয় এবং নতুন এসোসিয়েট সদস্যদের স্বাগত জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের নীতিনির্ধারকরা প্রবাসের মাঠিতে সকলকে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ফোরাম মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের একমাত্র রেজিস্ট্রিকৃত সংগঠন। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে নিয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে হবার পর, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও সংগঠনটির সদস্যদের পারিবারিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে নেপাল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাষ্টি মেম্বার আক্কু চৌধূরী'।
স্বাধীনতার তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন, ফোরাম এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো: আবুল বাশার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. শংকর চন্দ্র পোদ্দার, নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি আহমেদ সামি, সানা।
বক্তারা বলেন, ৫০ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম র্অজন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-র্সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
র্সবকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত হয়ে সশস্ত্র মুক্তি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস,স্বাধীনতার ইতিহাস। এই ইতিহাস ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মদান আর ২ লক্ষ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মদান ও সংগ্রামের গৌরবগাথা, গণবীরত্বের ইতিহাস।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভিযাত্রায় এক মহাসন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের ন্যায় নানান দেশে উদযাপিত হচ্ছে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী'।
এই সুবর্ণ জয়ন্তী সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য এক আনন্দঘন গৌরবের অনুভূতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্যয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক র্অজন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনকে মহিমান্বিত করছে। বাংলাদেশকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে দেশ গঠনে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য আহবান জানান সকল বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে কবিতা আবৃওি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি ও ফোরাম এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।