১৩০০ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করলো ইরান
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি থেকে ইরানের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে ১৩০০’র বেশি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ইরান।
সম্প্রতি দেশটির মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় তেহরানে সোমবার (২৫ জুন) বিক্ষোভ করেন ইরানি ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন।
সোমবার তেহরানের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে একত্রিত হন শতশত ব্যবসায়ী এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে সংবাদ প্রকাশ করে ইরানের জাতীয় টিভি চ্যানেল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের জানান, এই পরিস্থিতির কারণে আমরা সবাই খুব বিরক্ত। এভাবে আর ব্যবসা চালানো সম্ভব না। তবে আমরা শাসনব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখছি।
ইরানি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, দেশের সীমান্তের ভেতরে উৎপাদন সম্ভব এমন ১৩৩৯ পণ্য আমদানির নিষিদ্ধ করেছেন ইরানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ শরিয়তমাদারি। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল পণ্য, জুতা, চামড়া, ফার্নিচার, ওষুধ ইত্যাদি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে হুমকির মুখে থাকা ইরানের অর্থনীতিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান টাইমস।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হয়। আগামী আগস্ট-নভেম্বরের দিকে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেন, ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা থেকে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।