আরব আমিরাতে চালু হচ্ছে রাজক্ষমা
‘আপনার স্থিতি সংশোধন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন’এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাজক্ষমা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এই কার্যক্রমের মেয়াদকাল আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাখা হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
এবারের অ্যামনেস্টি বা রাজক্ষমার এই উদ্যোগ নিয়েছেন দুবাইয়ের শাসক ও ইউএইএ’র প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম। তিনি মনে করেন সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে সবাই যেন ডকুমেন্টেড হয়ে ভিসা লাগাতে পারে। একইসঙ্গে শিশুর চিকিৎসা, স্কুল ভর্তি এবং সকলে যেন ভিসা ভাতা পেয়ে এ দেশে সুখে থাকতে পারে। তাছাড়া জেল জরিমানা ছাড়াই ইউএই ত্যাগ করে দেশে চলে যাবার সুযোগ পান।
অ্যামনেস্টিকে কেন্দ্র করে দুবাইয়ের আল অভির ও শারজাহ ইমিগ্রেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের লেবার কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ ও ১৮ জুলাই।
এ সভায় উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের লেবার কাউন্সিলর এসকেএম জাকির হোসেন। এই সময় আমিরাত সরকার ইমিগ্রেশন দুটি অ্যামনেস্টি বা সাধারণ ক্ষমার বেশ কিছু নির্দেশনা তুলে ধরেন।
রোববার (২২ জুলাই) দুপুরে দুবাইয়ে তার কার্যালয়ে কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর এসকেএম জাকির হোসেন কিছু নির্দেশনা দেন। তা হলো—
ক. বৈধ ভিসাবিহীন প্রবাসী কর্মীরা ইচ্ছা করলে নতুন করে ভিসা লাগাতে পারবে। তবে সেই ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগকর্তা/স্পন্সর লাগবে। পূর্ববর্তী স্পন্সর কর্তৃক তামীম বা এবসকন্ডিং রিপোর্ট ইমিগ্রেশন সিস্টেম হতে তুলে দেবে। আমের বা তাসহিলের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত ফি দিতে হবে। ফাইন বা জরিমানা দিতে হবে না।
খ. কেউ যদি ইউএই ত্যাগ করে দেশে চলে যেতে চায়, কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট পাসপোর্ট বা আউট পাস নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে তাকে এক্সিট পারমিট নিতে হবে এবং এক্সিট পারমিটের মেয়াদ থাকবে ১০ দিন। এই ক্ষেত্রে ফাইন বা জরিমানা দিতে হবে না। কোনও ধরনের নো এন্ট্রি বন্ড দেবে না। পরবর্তীতে সে ভিজিট এমপলয়মেন্ট ভিসায় এই দেশে আসতে পারবে।
গ. আর যারা ইউএইতে অবৈধ অনুপ্রবেশ তথা ওমান বা ইরান কিংবা সমুদ্রপথে এসেছিল তাদের ক্ষেত্রে দুই বছরের নো-এন্ট্রি বন্ড পড়বে। এই অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে প্রথমে রয়েছে পাকিস্তানি নাগরিক, দ্বিতীয় স্থানে আছে আফগানিস্তানের নাগরিক এবং তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশী নাগরিক।