খাশোগি হত্যার বিষয়ে মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে আসছেন এরদোগান
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একেবারে চাঁচাছোলা সত্য প্রকাশ করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এ ঘটনায় আগামী মঙ্গলবার তিনি নতুন একটি বিবৃতি দেবেন বলে জানা গেছে।
দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববারে তার বক্তব্যে এমন ধারনা তৈরি হয়েছে যে খাশোগি হত্যার তদন্তের কিছুটা ফলাফল প্রকাশ করতে যাচ্ছে আঙ্কারা।
নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট ও ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানে নিয়মিত কলাম লিখতেন। গত ২ অক্টোবরে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর তিনি আর বেরিয়ে আসেননি।
খাশোগির অন্তর্ধানের ব্যাখ্যা কী, এই নিয়ে কঠিন চাপে পড়েছিল সৌদি আরব। শুক্রবারের আগ পর্যন্ত খাসোগির খোঁজ তাদের জানা নেই এবং সে কনস্যুলেটে ভবন ছেড়ে গেছে বলে দাবি করে আসছিল দেশটি।
শুক্রবার সৌদি আরব স্বীকার করে প্রখ্যাত সৌদি সমালোচক খাশোগি মুষ্টি যুদ্ধে মারা গেছেন। তারা বলেছে, কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগির সঙ্গে যারা সাক্ষাৎ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে তার মারামারি শুরু হয়। আর তা শেষ হয় খাশোগির মৃত্যুর মাধ্যমে।
ইস্তানবুলে দেয়া এক ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, আগামী মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে আমি আমার বক্তব্য পেশ করবো। আমরা এখানে ন্যায়বিচার চাচ্ছি। এতে সব নগ্ন সত্য বেরিয়ে আসবে। কেবল কিছু সাধারণ পদক্ষেপই নয়, বরং সব নগ্ন সত্য বেরিয়ে আসবে।
এ ঘটনায় এরদোগান বেশ নিশ্চুপই ছিলেন এতদিন। যদিও তুরস্কের সরকার সমর্থক পত্রিকাগুলো জানিয়েছে, কনস্যুলেটে খাশোগিকে মোকাবেলা করতে সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের একটি দল ইস্তানবুলে কুনস্যুলেটে এসেছিল।
এরদোগানের প্রশ্ন, কেন সেই ১৫ জন এসেছিলেন... কেন ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এসব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ আমাদের বলতে হবে সৌদিকে।