শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 25 October, 2018 02:29

খাশোগি হত্যা: এরদোগানকে সৌদি যুবরাজের ফোন

খাশোগি হত্যা: এরদোগানকে সৌদি যুবরাজের ফোন
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। ফাইল ছবি
মেইল রিপোর্ট :

সাংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যার তদন্তের বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা অনাদলু এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, টেলিফোনালাপে খাশোগির হত্যার মূল রহস্য উদঘটনের জন্য দু’দেশ যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

২ সেপ্টেম্বর সৌদি কনস্যুলেট ভবনের মধ্যে খাশোগিকে হত্যার পর এই প্রথম ফোনালাপ করলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও সৌদি যুবরাজ।

এর আগে বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার ফোনালাপ করেন এরদোগান যেখানে দু’দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনে সম্মত হওয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান সৌদি বাদশা।

যদিও ঘটনার শুরু থেকেই তুরস্কের গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সন্দেহের তীর ছিল প্রিন্স বিন সালমানের দিকেই। এমন কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং তুরস্কের অন্য সরকারি ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের বিবৃতিতেও এ আভাসই পাওয়া যাচ্ছিল যে শেষ পর্যন্ত খাশোগি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে সৌদি প্রিন্সকেই দোষারোপ করা হবে।

কিন্তু আজকের ফোনালাপ এবং দু'পক্ষের বিবৃতির দিকে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে তুরস্ক হয়তো এই অবস্থান থেকে সরে আসছে।

প্রিন্স সালমান এক বিবৃতিতে জানান যে তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খাশোগি বিষয়ে একত্রে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

প্রিন্স সালমান বলেন যে খাশোগির হত্যা একটি "জঘন্য অপরাধ" যা কোনোভাবেই "সমর্থনযোগ্য নয়।" তিনি আরও বলেন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তদন্তের "ফলাফল পৌঁছাতে" সৌদি আরব ও তুরস্ক একসঙ্গে কাজ করবে।

তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘বেদনাদায়ক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন যে বিষয়টির ব্যাপারে "ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।"

ফোনালাপটি এমন এক সময়ে ঘটলো যখন সৌদি সরকার তুরস্কের একটি গোয়েন্দা টিমকে সৌদির ইস্তাম্বুল কনসুলেটের ভেতরের বাগানের একটি গর্ত অনুসন্ধানের অনুমতি দিল। তুরস্কের পত্রপত্রিকা কয়েকদিন ধরেই দাবি করে আসছিল যে সৌদি সরকার ওই গর্তে এবং বাগানে অনুসন্ধানের অনুমতি দিচ্ছে না। ধারণা করা হয় ওই গর্তে খাশোগির লাশ পুঁতে রাখা হতে পারে।

তুরস্কের পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয় তুরস্কের গোয়েন্দারা খাশোগির হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত অডিও, ভিডিও এবং অন্য সব ডকুমেন্টসহ সব তথ্যপ্রমাণ সিআইএ প্রধান গিনা হাসপেলের কাছে তুলে ধরেন। হাসপেল এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মঙ্গলবার তুর্কি সফর করেন।

বিশ্লেষকদের মতে আজকের ফোনালাপ খাশোগির হত্যা ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। হয়তো সৌদি প্রিন্স বিন সালমান এবারের মতো দোষী সাব্যস্ত হওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।

তবে দেখার বিষয় হচ্ছে আসলেই সৌদি আরব এবং তুরস্কের মধ্যে কোনো সমঝোতা হবে কি না আর যদি হয় তবে সেটা আঞ্চলিক অর্থনীতি-রাজনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগত দিক থেকে কতটা প্রভাব পড়বে?

উপরে