‘সৌদি কনস্যুলেটের ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যা’
সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার দেহ টুকরো টুকরো করা হয় এবং পূর্ব পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের পর খাশোগির মৃতদেহ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়।
খাশোগিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করলেন ইস্তাম্বুল শহরের প্রধান কৌঁসুলি ইরফান ফিদান।
কনস্যুলেটের ভেতর সৌদি গুপ্তঘাতকদের সঙ্গে হাতাহাতির পর খাশোগি নিহত হয়েছেন, এরমধ্য দিয়ে রিয়াদের এমন বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হলো।
ইস্তাম্বুল থেকে সৌদির প্রধান কৌঁসুলি চলে যাওয়ার পর ইরফান এমন খবর নিশ্চিত করলেন। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সৌদি-তুরস্ক একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। তবে সৌদির প্রধান কৌঁসুলি চলে যাওয়ার পর ইরফানের বিবৃতির অর্থ হচ্ছে, উভয়পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা কতটা অল্প।
কৌঁসুলি ইরফান তার বিবৃতিতে বলেন, চলতি সপ্তাহে সৌদির কৌঁসুলি সৌদ আল-মুজেবের সঙ্গে আলোচনায় ‘কোনও ফল’ আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর বিয়ের কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করেন সৌদির সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি। কিন্তু এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে শুরুতেই দাবি করে তুরস্ক। প্রথমে তুরস্কের দাবি অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি।