খাশোগি হত্যা, সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক হুমকিতে
সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী হুশিয়ারি করে বলেছেন, ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে যে প্রতিবাদ হচ্ছে, তাতে রিয়াদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়েছে। এসব প্রতিবাদের মধ্যে সৌদি আরবকে দানবীয়ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
সৌদি রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স তুর্কি বিন ফয়সাল আল সৌদি বুধবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে মূল্যবান মনে করছি। আশা করি, এটি টেকসই হবে। আমাদের প্রত্যাশা- যুক্তরাষ্ট্র হুবহু আমাদের মতোই আচরণ করবে।
দাতব্য সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল অন ইউএস আরব রিলেশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এর আগের সংকটময় সময়গুলোতেও দুই দেশের সম্পর্ক টিকে ছিল। খাশোগি হত্যা কেন্দ্র করে সেই সম্পর্ক ফের হুমকিতে পড়েছে।
তিনি বলেন, জামাল খাশোগিকে হত্যা অন্যায় ও মর্মান্তিক। এ ঘটনা কেন্দ্র করে সৌদি আরবকে পৈশাচিকভাবে তুলে ধরতে আগের সংকটগুলোতে যেসব থিম ব্যবহার করা হতো, এবারেই একই রকম হচ্ছে। এ বিষয়টা কেন্দ্র করে আমাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলামনিস্ট খাশোগি সম্প্রতি তার কয়েকটি লেখায় সৌদি আরবের চলমান রাজতন্ত্র, বিশেষ করে সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানের সমাজ সংস্কারমূলক কিছু উদ্যোগের সমালোচনা করেছিলেন।
তুরস্কের অভিযোগ, বর্তমান যুবরাজের নির্দেশেই তার লোকজন খাশোগিকে হত্যা করেছে। খাশোগির দেহ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তিনি যে খুন হয়েছেন এ ব্যাপারে একমত তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবও।
দেশটি এ ঘটনায় রাজপরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেও খাশোগি হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত বলে বর্ণনা করেছেন সৌদি আরবেরই সরকারি কৌঁসুলি সৌদ আল-মজেব।
ইস্তানবুলের প্রধান কৌঁসুলি ইরফান ফিদানের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে এ সপ্তাহে তুরস্ক যান আল-মজেব। এর দুদিন পরই তুরস্ক খাশোগি হত্যা নিয়ে সর্বসাম্প্রতিক ওই বিবৃতি দেন। তবে ফিদানের সঙ্গে তার বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।