খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে!
অবশেষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তুর্কি গণমাধ্যম ‘ইয়েনিসাফাক’ জানিয়েছে, খাশোগি হত্যায় অংশ নেয়া এক ব্যক্তির এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার টেলিফোন আলাপে এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকারী দলটির এক সদস্য তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোনে বলেন যে ‘আপনার বসকে জানান আমাদের মিশন সফল হয়েছে’। হত্যাকারী দলের এই সদস্য বস বলতে মোহাম্মদ বিন সালমানকেই বুঝিয়েছেন।
তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থার সংগৃহীত খাশোগি হত্যার একটি রেকর্ডিং সম্পর্কে অবগত তিন জনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তারা জানিয়েছেন যে এই রেকর্ডিংয়ে খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার প্রমাণ আছে।
আরও বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদের নাম উল্লেখ করা না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দার কর্মকর্তাদের বিশ্বাস তাকেই ‘আপনার বস’ বলা হয়েছে। খাশোগি হত্যায় অভিযুক্ত মাহের আবদুলআজিজ মুতরেব টেলিফোন কলটি করেন। কথোপকথন হয় আরবি ভাষায়।
খাশোগিকে হত্যা করতে ইস্তাম্বুলে পাঠানো সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের দলটির একজন মুতরেব। তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আমেরিকান গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, তাদের বিশ্বাস মুতরেব সৌদি যুবরাজের একজন সহকারীর সঙ্গে কথা বলছিলেন।
তবে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তারা এই রেকর্ডিংকেই খাশোগি হত্যায় মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততার অকাট্য প্রমাণ হিসেবে মনে করছেন না বলেও উল্লেখ করেছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করে নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি। এরপর তুরস্ক দাবি করে তাকে দূতাবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে এখনও খাশোগির মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি।