মক্কা-মদিনাসহ বিভিন্ন দেশে খাশোগির গায়েবানা জানাজা
পবিত্র মক্কা ও মদিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৌদি সরকার এখন পর্যন্ত খাশোগির মরদেহ হস্তান্তর না করায় এ জানাজার আয়োজন করা হয়।
এ জানাজার আয়োজন করা হয়েয়ে প্রয়াত সাংবাদিকের বাগদত্তার আহ্বানে।
সৌদি আরবের পবিত্র মদিনার মসজিদে নববীতে গায়েবানা জানাজায় খাসোগির ছেলে সালাহ খাসোগিও অংশ নেন। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর সেখানে জানাজার আয়োজন করা হয়।
পবিত্র মক্কার গ্রান্ড মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন অসংখ্য মুসল্লি। এছাড়া তুরস্কের ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ও দিয়ারবাক্র, ব্রিটেনের লন্ডন, আমেরিকার ওয়াশিংটন, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ফ্রান্সের প্যারিস, মরক্কোর রাবাত এবং তিউনিশিয়া ও কুয়েতে একই ধরনের গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়।
গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত মরদেহ হস্তান্তরের জন্য সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার সুবিচার দাবি করেছেন তারা। খাসোগির বাগদত্তা খাদিজা চেঙ্গিজের আহ্বানে শুক্রবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ সময় তার জন্য বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন তার বাগদত্তা। তিনি কনস্যুলেট থেকে না ফেরায় বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়। সে সময় তুরস্ক সরকার সৌদি কনস্যুলেটকে ব্যাপক চাপের মুখে রাখেন।
এ ঘটনা প্রথম থেকে অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি আরব স্বীকার করে, খাসোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত খাসোগির মৃতদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে, হাইড্রোফ্লুরিক অ্যাসিড দিয়ে তার মরদেহ গলিয়ে ফেলা হয়েছে। সৌদি যুবরাজের বিতর্কিত নানা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বহু কলাম লিখেছেন জামাল খাসোগি।