যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের দুপক্ষ বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার বন্দিকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে যুদ্ধ বন্ধে প্রথম শান্তি আলোচনাকে আশাপ্রদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারী।

গত চার বছর ধরে গৃহযুদ্ধ ইয়েমেনের লাখ লাখ লোককে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সুইডেনের রাজধানী স্টোকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারী মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, বিরোধী পক্ষকে আলোচনার টেবিলে পাওয়া বড় ধরনের একটি মাইলফলক।

বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের এ যুদ্ধ অবসানে সুইডেনে শুরু হয়েছে জাতিসংঘ প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা। সংঘাতে লিপ্ত দুপক্ষ বন্দিবিনিময় চুক্তিও সই করেছে বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন বিশেষ জাতিসংঘ দূত গ্রিফিথস।

২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব মিত্রদের নিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এ পর্যন্ত দেশটিতে বহু শিশুসহ লাখো মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের ভাষায়-যেটি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক মানবিক বিপর্যয়।

শান্তি আলোচনায় ইয়েমেন সরকার এবং হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে আসা প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। দুপক্ষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা এক সপ্তাহ স্থায়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রিফিথের টিম।

জাতিসংঘের প্রত্যাশা-ইয়েমেনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমাধানটি কেমন হবে সে সম্পর্কিত আলোচনার একটি ফ্রেমওয়ার্ক বৃহস্পতিবারের আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসবে।

গ্রিফিথ বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমরা শান্তি প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চারের বড় ধরনের সুযোগ পাব।

আলোচনায় বসেছেন ইয়েমেনের সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট সমর্থিত সরকার ও ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরা। আলোচনা শুরু করেছেন জাতিসংঘ দূত। কর্মকর্তারা বলছেন-কয়েকটি ওয়ার্কিং গ্রুপের মধ্য দিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলবে।