শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 21 December, 2018 14:42

যুক্তরাষ্ট্র গেলেও সিরিয়ায় থাকছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন

যুক্তরাষ্ট্র গেলেও সিরিয়ায় থাকছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন
মেইল রিপোর্ট :

সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা সরিয়ে নিলেও থাকছে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সেনারা। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনারা অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে দেশ দুটির কর্মকর্তারা।

মার্কিন সেনা সরিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় তাদেরকে ‘অবাক’ করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এদিকে সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি শান্তির জন্য বাধা বলে সতর্ক করেছে পশ্চিমের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।  

২০১১ সালে ছড়িয়ে পড়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের তিন বছরের মাথায় ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আইএস বিরোধী সামরিক জোট গঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এ জোটের প্রধান তিন সদস্য। পরের বছরই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া।

মস্কোর অভিযোগ, জোটের পক্ষ থেকে জঙ্গিবিরোধী লড়াইয়ের কথা বলা হলেও আইএসের সহায়তায় কাজ করছে তারা। একই অভিযোগ সিরিয়া সরকারেরও।

সিরিয়া সরকার সবসময় বলে আসছে, ‘ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা আইএসসহ উগ্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিচ্ছে। সেই যুক্তরাষ্ট্রই আবার সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার দাবি করছে।’

মঙ্গলবার অপ্রত্যাশিতভাবে ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া জোরদার করার কথা জানান। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় আমরা আইএসকে হারিয়েছি।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ওখানে সেনা মোতায়েন রাখার একমাত্র কারণ ছিল সেটাই। এখন সেখান থেকে ফেরার পালা।’ সিরিয়ায় ২ হাজার মার্কিন সেনা সক্রিয় রয়েছে। এসব সেনাকে খুব দ্রুতই সিরিয়া থেকে সরিয়ে নিতে মঙ্গলবার রাতেই সব কর্মকর্তার কাছে ট্রাম্পের নির্দেশ পৌঁছে দেয়া হয়।

ট্রাম্পের এ ঘোষণায় ‘বিস্মিত’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফরাসি ও ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। কারণ মার্কিন সেনাদের পাশাপাশিই লড়াই করছে ফরাসি ও ব্রিটিশ সেনারা।

বুধবার এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের ইউরোপবিষয়ক মন্ত্রী নাথালি লইসো সিনিউজ টেলিভিশনকে বলেন, ‘সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। এটা সত্য যে আমাদের জোট সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি করেছে। কিন্তু এ লড়াই এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা তা অব্যাহত রাখব।’

অপরদিকে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হয়েছে ট্রাম্পের এ দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তোবিয়াস এলউড।

তিনি বুধবার বলেন, ‘আমি জোর দিয়েই ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। সিরিয়ায় আইএস এখন ক্রমেই নতুন ধরনের সন্ত্রাসবাদে বদলাচ্ছে এবং তারা এখনও বড় হুমকি।’

উপরে