ফিলিস্তিনে মন্ত্রিপরিষদসহ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি আল--হামদাল্লাহ ও তার নের্তৃত্বাধীন জোট সরকার প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রামি একথা জানিয়েছেন।পদত্যাগের এ ঘটনা গাজার হামাস শাসকদের সঙ্গে আব্বাসের ফাতাহ’র সম্প্রীতির প্রচেষ্টাকে সংশয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর সরকার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকারই দায়িত্ব পালন করবে।
মাহমুদ আব্বাস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেননি। তবে দু’দিন আগে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফাতাহ’র এক বৈঠকে বর্তমান সরকারের পরিবর্তে নতুন একটি সরকার গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
হামাসের একজন কর্মকর্তা এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন,এ পদক্ষেপ দলটিকে ফিলিস্তিনের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া এবং একঘরে করে ফেলারই চেষ্টা।
এদিকে এক বিবৃতিতে সোমবার আব্বাস বলেন, আইনে বিতর্কিত অংশগুলোতে সংলাপ চলতে থাকবে। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলে অংশগ্রহণ করবে, যা অবসরকালীন অর্থের জোগান দেবে।
আইনের সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, বাধ্যতামূলক সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলে সাত শতাংশের কর ইসরাইলি দখলে থাকা ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে দেশটির প্রত্যেক পরিবারকে শেষ করতে ভূমিকা রাখবে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন মজুরি প্রতি মাসে ৪০০ ডলার।
এ আইন বিরোধী কমিটির একজন মোহাম্মদ জিয়াইয়ার জানিয়েছেন, যদি সরকার সামাজিক নিরাপত্তা আইন জোর দিতে চায়, তাহলে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়াতে হবে। তিনিও অবরোধকারীদের একজন। নতুন করের প্রতিবাদে গত জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে তাদের দোকান বন্ধ রেখেছিল।
গত সপ্তাহে মোহাম্মদ তামরাম বলেন, ফিলিস্তিনিতে সর্বনিম্ন মজুরি তবে বেঁচে থাকার খরচ অনেক বেশি। আমরা কীভাবে সামাজিক নিরাপত্তার চিন্তা করতে পারি, যেখানে আমরা টেবিলে খাবার রাখার চেষ্টা করি?
এ আইনটিতে ২০১৬ সালে মাহমুদ আব্বাস স্বাক্ষর করেছিলেন। যার ফলাফল গত মাসে একটি কোম্পানির ২০০ শ্রমিকের ওপর পড়েছিল। আইন অনুযায়ী তারা নিবন্ধিত হতে হয়েছিল সামাজিক নিরাপত্তা আইনের অধীনে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা কিছু সমালোচকদের উদ্বেগ জানানোর পর আইন পরিবর্তন করতে অঙ্গীকার করেছিল। মাজেদ আল-হ্যালো যিনি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে আইনটি চালুর আগে বড় পরিবর্তন দরকার ছিল।