শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 10 February, 2019 20:58

কুশনারের ফিলিস্তিন-ইসরাইল নিয়ে চুক্তিতে সৌদি যুবরাজ বাদ

কুশনারের ফিলিস্তিন-ইসরাইল নিয়ে চুক্তিতে সৌদি যুবরাজ বাদ
মেইল রিপোর্ট :

ফিলিস্তিনি-ইসরাইলের সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচিত সেই চুক্তিতে সৌদি যুবরাজকে রাখা হবে না। সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ এই তথ্য জানিয়েছেন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা কুশনার সঙ্গে শতাব্দীর চুক্তি আলোচনায় ছিলেন সৌদি যুবরাজ বিন সালমান। রোববার ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইয়েনি শাফাক জানায়, ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিশ্লেষকদের এ প্রতিবেদনকে গোপন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এটি সৌদি-ইসরাইলের সম্পর্কের অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজা সালমান তার ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিনির ফাইলটি ফিরিয়ে নিয়েছিল। ফিলিস্তিনের জন্য শতাব্দীর প্রস্তাবিত চুক্তিটি যাতে সমর্থন না করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাক্সিওস জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পরিকল্পনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে না সৌদি আরব। যাতে ইসরাইলি সরকার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বাস্তবত অনুমোদন করতে না পারে।

এতে বলা হয়, প্রতিবেদনটি ইসরায়েলি সরকারের দূতাবাস ও জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ছোট একটি দলের কাছে পাঠানো হয়েছিল।

ওয়াশিংটনের শান্তি পরিকল্পনা শর্তাবলী এতে অস্পষ্ট রয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনে সম্প্রতি অনুমান করা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা বলছে তাদের অধিকার রয়েছে তাদের ঐতিহাসিক শহর ফিলিস্তিনিতে ফিরে যাওয়া। যা ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের নতুন রাষ্ট্রের দিকে চালিত হয়েছিল।

ফিলিস্তিনিদের ভাষ্যমতে, ফিলিস্তিনির গাজা স্ট্রিপ ও সীমিত স্বায়ত্বশাসিত পশ্চিম তীর এবং ইরসাইলি নিয়ন্ত্রণাধীন জেরুজালেম শহর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান কামনা করছিল দেশটির ভুক্তভোগীরা।

২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে দেশটির দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।

এমন ঘোষণায় পুরো মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকমী সংগঠন ফাতাহ ও হামাস সর্বাত্মক প্রতিরোধ ও অসহযোগের আহ্বান জানায়।

সেই থেকে এখন পর্যন্ত অনেকের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আর ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত সহস্রাধিকের মতো আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইসলামিক সাহায্য সংস্থা ওআইসির জরুরি সভায় মুসলিম দেশের নেতারা পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করেন।

উপরে