‘সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালিয়ে যাবে’
সামরিক শক্তির বিস্তৃতির জন্য ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
সোমবার ইরানের ৪০তম ইসলামী বিল্পব উপলক্ষে তেহরানের আজাদী স্কয়ারে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের চাপ সত্ত্বেও ইরান তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক এ কথা জানায়।
তিনি বলেন, আমরা কাউকে জানিয়ে বা কারও কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন করব না। আমরা আমাদের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর উন্নয়ন চালিয়ে যাব।
২০১৫ সালে শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে ইরানকে ইউরেনিয়াম আহরণের পরিমাণ বেঁধে দেয়া হয়।
চুক্তিতে বলা হয়, ইরান ৩ দশমিক ৫ শতাংশ পরিমাণ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণ করতে পারবে। তবে এটি ৩০০ কেজির বেশি হবে না। তেহরান সবসময় পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে।
বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। ফলে দেশটি বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাস বিক্রি করার অনুমতি পায়।
জাতিসংঘ পারমাণবিক পরিদর্শকদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইরান চুক্তির নিয়মাবলি মেনে চলতে থাকে।
গত বছরের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।