আইএসের গাড়ির যন্ত্রাংশ বেচে ধনী হচ্ছেন শিয়া মিলিশিয়ারা

ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের ব্যবহার করা গাড়ির ধ্বংসাবশেষ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ তাদের ইরান-সমর্থিত শত্রুদের অর্থ জোগানে সহায়তা করছে। যুদ্ধের সময় আইএস যোদ্ধারা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এসব গাড়ি ফেলে গেছেন।
আইএসকে ইরাকে তাদের সর্বশেষ ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করেছিল শিয়া মুসলমানদের আধাসামরিক বাহিনীগুলো। এবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফেলে যাওয়া গাড়ি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও ধ্বংসাবশেষ কুড়িয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছেন তারা।
২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত আইএসের কার্যত রাজধানী ছিল ইরাকের মসুল। সেখানের গাড়ির যন্ত্রাংশের চাতালের মালিক, স্টিল কারখানার ব্যবস্থাপক ও আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, কীভাবে শিয়া পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) ধ্বংসপ্রাপ্ত গাড়ি, অস্ত্র থেকে শুরু করে পানির ট্যাংক ও ভাঙা জানালার কাঠামো বিক্রি করে কোটি কোটি ডলার আয় করছে।
তবে এ সংক্রান্ত নিজেদের তৎপরতার কথা অস্বীকার করেছে পিএমএফ। মসুলে এই আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আইএসের ফেলে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ বিক্রিতে জড়িত না।
কিন্তু এ ব্যবসায় জড়িতদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, পিএমএফ মিলিশিয়ারা এই ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এসব যন্ত্রাংশ গলিয়ে ভবন নির্মাণের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হয়, যা থেকে আয় হচ্ছে কোটি কোটি ডলার।
সূত্র জানায়, পিএমএফ তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব কাজে লাগিয়ে যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহর থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ পরিবহনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।
ইরাকে পিএমএফের প্রভাব বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে ইতিমধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইরান-সমর্থিত এ সংস্থাটি ইরাক ও সিরিয়া হয়ে লেবাননের করিডরের নিয়ন্ত্রণও নিশ্চিত করছে।