হরমুজ প্রণালীতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে ইরান!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই পারস্য উপসাগরে হরমুজ প্রণালীতে তিনদিনের নৌ মহড়া করছে ইরান। এ মহড়ায় তারা প্রথমবারের মতো সাবমেরিন থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার থেকে এ মহড়া শুরু হয়েছে। হরমুজ প্রণালী থেকে আরব সাগর পর্যন্ত এলাকায় শতাধিক নৌযান অংশ নিচ্ছে। খবর রয়টার্স।
ইরানের নৌ কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল হোসেইন খানহাদি নানামাত্রিক হুমকি মোকাবেলার লক্ষ্যে এ মহড়াটি হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, এখানে সেনাসদস্যদের পাশাপাশি অস্ত্র ও সরঞ্জামের পরীক্ষা, সেগুলোর কার্যকারিতা ও প্রস্তুতি দেখা হবে।
সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সাহান্দ যুদ্ধজাহাজ থেকে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ওড়ানো হবে।
নৌ কমান্ডার বলেন, যেকোনো দিক থেকে ইরানের ওপর হামলা হলে তার রুখতেই এই মহড়া। অস্ত্রের মহড়াসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য আর সরঞ্জামাদি আকস্মিক যুদ্ধ হলে কতটা প্রস্তুত ও কার্যকারি তা মূল্যায়ন করা হবে মহড়ায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরান নিজেদের বানানো নতুন ডুবোজাহাজ ফাতেহ-কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পাশাপাশি সেখান থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রক্রিয়া এবারের মহড়ায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
যুক্তরাষষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে হরমুজ প্রণালীতে এ নৌ মহড়ায় নজর রাখছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরাও।
এর আগে ইরান হুমকি দিলে বলে, যুক্তরাষ্ট্র তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বা অন্য কোনো ধরনের শত্রুতামূলক আচরণ করলে এ প্রণালীটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তেহরান তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও বিস্তৃত করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরেই ইরান তাদের নিজেদের বানানো সাহান্দ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। এদিকে দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতি কাটিয়ে একই মাসে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জন সি স্ট্যানিস।
ইসলামি বিপ্লবের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে এ মাসের শুরুতে ইরান ১ হাজার ৩শ' কিলোমিটার পাল্লার নতুন একটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও উন্মুক্ত করেছে।