পাথর ছোড়ার অভিযোগ এনে চোখ ও হাত বেঁধে দুই পায়ে গুলি
বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর তার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। হাতও বাঁধা হয় পিছমোড়া করে। এর পর নির্মমভাবে গুলি করা হয়েছে ফিলিস্তিনি কিশোর আল বাদানকে।
বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিমতীরের বেথেলহেমের তুকু গ্রামে একটি দাফন অনুষ্ঠানের পর ইসরাইলি সেনারা এই নির্মমতা চালান।
ফটো ও ভিডিওতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ওসামা আল বাদানের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। তার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত চার ইসরাইলি সেনার কাছ থেকে সে পালাতে চেষ্টা করছিল।
তার বাবা আলী আল বাদান বলেন, বাদানের প্রতিটি পায়ে একটি করে গুলি করা হয়েছে।
‘তার কোনো অপরাধ ছিল না। তবু তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইহুদি সেনারা তার বিরুদ্ধে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগ করেন। কিন্তু আমি জানি, সে এমনটি করেনি।’
যদি সে পাথর মেরেও থাকে, গুলি করে হত্যা কি তার শাস্তি হতে পারে, প্রশ্ন আলীর।
সেদিন তুকু গ্রামের এক স্কুলশিক্ষক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার জানাজায় প্রচুর লোকসমাগম হয়েছিল। দাফনের পর ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গুলি করার পর ওসামা আল বাদানকে আটক করা হয়েছে।