ইরানি তেল কিনছে না তুরস্ক
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে দ্বিমত সত্ত্বেও তেহরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক।
বুধবার তুরস্কের এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইরান থেকে তেল ক্রয় বন্ধ রেখেছে আংকারা।
তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াভুজ সেলিম কিরানের ওয়াশিংটনে সফরের সময় নাম প্রকাশে এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত মিত্রতার কারণে আমরা নিষেধাজ্ঞার প্রতি সম্মান দেখাচ্ছি।
বছরখানেক আগে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পাশাপাশি ইরানের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে দেশটির তেল রফতানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
এছাড়া যেসব দেশ ইরান থেকে তেল ক্রয় করছে, সেসব দেশকেও নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রাথমিকভাবে চীন, ভারত, জাপানসহ আটটি দেশকে ইরান থেকে তেল কেনায় ছাড় দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশকে তেহরানের অপরিশোধিত তেল কেনার সুযোগ দেয়ার পর গত ২ মে তা বন্ধ করে দিয়েছে।
আংকারা প্রথমে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানার ক্ষেত্রে নিজের অনিচ্ছার কথা জানালেও গত ২ মে থেকে ইরানি তেল কেনা বন্ধ রেখেছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াশিংটনে তুর্কিশ প্রতিনিধিরা দুই ন্যাটো মিত্রের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। যার মধ্যে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের বিষয়টিও ছিল।
ওয়াশিংটন বলছে, মস্কোর সঙ্গে আংকারার চুক্তি পশ্চিমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকি। গত এপ্রিলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
ওয়াশিংটনে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্রয় চুক্তি আগেই সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই মস্কোর সঙ্গে নিজেদের যোগাযোগ রক্ষার সিদ্ধান্তে দৃঢ়সঙ্কল্প আংকারা।