শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 10 June, 2019 02:29

নিজস্ব প্রযুক্তিতে শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে ইরান

নিজস্ব প্রযুক্তিতে শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে ইরান
মেইল রিপোর্ট :

নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উদ্বোধন করল ইরান। এই ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে 'খোরদাদ ফিফটিন'। এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একই সময়ে ছয়টি লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম।

রোববার (৯ জুন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেন, ইরানের এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত এবং ১২০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারবে।

এছাড়া রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম স্টিলথ জঙ্গিবিমান ও ড্রোনকে ৮৫ কিলোমিটার দূর থেকে শনাক্ত করতে পারবে এবং ৪৫ কিলোমিটার দূর থেকে সেটাকে ধ্বংস করতে পারবে।

তিনি বলেন, ইরান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে কারো অনুমতি নেয় না। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি আরও বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিজাতীয় শক্তির অনেক সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এসব ঘাঁটির হুমকি মোকাবেলায় অত্যাধুনিক এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।

পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোকে ইরানের হুশিয়ারি
পারমাণবিক চুক্তির বাইরে ইরানের কোনো বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো সমালোচনার যোগ্যতা রাখে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।

একই সঙ্গে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইউরোপীয় নেতাদেরকে তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বান জানান। অন্যথায় ইউরোপীয় দেশগুলোকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।

রোববার তেহরানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর টিআরটির।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় এবং চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর উচিত ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। অন্যথায় আমরা চুক্তির সব প্রতিশ্রুতি পূরণ বন্ধ করব কিংবা তাদের নেয়া পদক্ষেপ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন নামের চুক্তিতে সই করেছিল।

মার্কিন সরকার ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায় এবং নভেম্বরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। ইরানের অভিযোগ ইউরোপীয় দেশগুলো এ সমঝোতা বাস্তবায়নের কথা মুখে বললেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করা পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানিও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

কিন্তু ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত রাখার ক্ষেত্রে পরমাণু চুক্তিটিকেই সবচেয়ে ভাল পন্থা বলে মনে করেন দেশগুলো।

উপরে