এবার ছেলেদের স্কুলেও ক্লাস নেবেন সৌদির নারীরা

শিক্ষা বোর্ডের সহকারি সাধারণ পরিচালক সুয়াদ আল মানসুর বলেন, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিটি শিশুর সমান অধিকার নিশ্চিত করা। নারীরা পুরুষ শিক্ষকদের তুলনায় ছোট শিশুদের বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
তার মতে, শিশু বয়সটা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় একটি শিশু যা শিখবে সেটার প্রভাবই তার পরবর্তী জীবনে পড়বে। নারী শিক্ষকরা শিশুদের প্রতি অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন এবং ভয়ভীতি কম দেখান। এটা শিশুদের বিকাশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্ডারগার্টেন থেকে প্রাথমিকে যাওয়ার পর অনেক ছেলে শিশুই নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়। তাদের এই প্রতিবন্ধকতা দূর করবে নতুন এই প্রকল্প। নারী শিক্ষকরা শিক্ষাদান করলে তাদের অভিজ্ঞতা আরও বেশি ফলপ্রসূ হবে। তারা মাতৃত্বের ছায়ায় শিক্ষাগ্রহণ করবে পারবে। ফলে লেখাপড়া নিয়ে তাদের কোনো ভয় বা আতঙ্ক থাকবে না।
তবে সৌদির অনেক বেসরকারি স্কুলে কয়েক দশক ধরেই প্রাইমারি লেভেলে নারী শিক্ষক দিয়েই শিশুদের শিক্ষাদান করা হচ্ছে।
আল মানসুর বলেন, প্রাক প্রাথমিক স্কুলের আওতায় কিন্ডারগার্টেনে ছেলে এবং মেয়েদের বয়স চার থেকে পাঁচ বছর। আর প্রথম তিনটি প্রাথমিক গ্রেডে শিশুদের বয়স ৬ থেকে ৮ বছর। তিনি বলেন, প্রাইমারি গ্রেডে ছেলে-মেয়েদের এক সঙ্গে কোনো ক্লাস হবে না। তাদের ক্লাসরুম, টয়লেট এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা সব আলাদা থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, নারী শিক্ষকরা ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ ছেলে শিশুকে শিক্ষাদান করবেন। এতে শিক্ষাক্ষেত্রে ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার কম খরচ হবে। প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষক মারিয়াম আল জাহরানি ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। তিনি বলেন, ছেলে শিশুদের জন্য একজন নারী শিক্ষক অনেকটাই মায়ের মতো।