মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তাচৌকি জ্বালাল বিক্ষোভকারীরা
ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে অগ্নিসংযোগ ও পাথর নিক্ষেপ করেছেন। এতে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা প্রহরীদের মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিকে নতুন চ্যালেঞ্জে ঠেলে দিয়েছে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা। ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন আগামী বছরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচন করতে যাওয়া ট্রাম্প।
যদিও উপসাগরীয় দেশটির বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছেন না বলে পরবর্তী সময়ে স্বীকার করেছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দূতাবাসের ভেতর কূটনীতিকরা নিরাপদে রয়েছেন। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছেন দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মীরা। তারা প্রধান ফটকের নিরাপত্তা চৌকিতে অগ্নিসংযোগ করেছেন। কিন্তু দূতাবাসের মূল কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেননি।
পেন্টাগন বলছে, দূতাবাস কর্মকর্তাদের রক্ষায় অতিরিক্ত মেরিন সেনা পাঠানো হয়েছে। ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের সাড়ে সাতশ সেনাকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এসব অতিরিক্ত সেনাকে মোতায়েনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বলেন, মার্কিন স্থাপনা ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা বাড়তে থাকায় যথাযথ এবং অতিরিক্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সেনা মোতায়েন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এই সাড়ে সাতশ সেনা বর্তমানে কুয়েতে অবস্থান করবেন। প্রয়োজন অনুসারে চার হাজার সেনা অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে। স্থানীয় বাহিনীকে সমর্থন করতে পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা বর্তমানে ইরাকে অবস্থান করছে।
মিলিশিয়াদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের পর ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ হঠাৎ করেই নতুন উত্তেজনা পেয়েছে। বর্তমানে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাকে হামলা চালায়। তখনকার প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যা করলেও দেশটিতে আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি।