ফ্লাইটে পেজার-ওয়াকিটকি বহন নিষিদ্ধ করল ইরান
গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর লেবাননে পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বকে হতবাক করে দেয় ইসরায়েল। ওই দুই ঘটনায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাসহ ৩৯ জন নিহত হন। আহত হন ৩ হাজারের বেশি মানুষ।
ওই দুই ঘটনার পর লেবানন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ফ্লাইটে পেজার-ওয়াকিটকি বহন নিষিদ্ধ করে। এবার লেবাননের মিত্র দেশ ইরানও সেই পথেই হাঁটলো।
ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র নিয়ে উড়োজাহাজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটিতে। শুধু যাত্রীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে।
ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থার মুখপাত্র জাফর ইয়াজেরলোর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা ইসনার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা পরিস্থিতির মধ্যে সতর্কতা স্বরূপ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। সিদ্ধান্তটিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলা ঠেকানোর প্রস্তুতি অংশ বলেই ভাবা হচ্ছে।
এর আগে সতর্কতার অংশ হিসেবে ফ্লাইটে পেজার-ওয়াকিটকি বহন নিষিদ্ধ করে লেবাননের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের শুরুতে একই নির্দেশ দেয় আরব আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন্সও।
গত জুলাইয়ের শেষদিকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যায় নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান।
ইসমাইল হানিয়া ও হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরায়েল।
এর বদলা হিসেবে ইরানকে চরম পরিণতি ভুগতে হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রীরা নিয়মিতই ইরানকে হুমকি দিচ্ছেন।