বিপদের আরেক নাম নেগেটিভ বিস্ময়
বিপদ আপদের কাছে মানুষ অত্যন্ত অসহায়। কখন যে কি ঘটবে সেটা ধারণা করার সামান্যতম ক্ষমতা আমাদের নাই। মৃত্যু তো আরো অনিবার্য সত্য। যে কোনো সময় হাজির হয়ে যেতে পারে।
গত সপ্তাহে আমার এক সহকর্মী বাগেরহাট থেকে খুলনায় যাচ্ছিলেন। যাত্রাপথেই তার প্রাইভেট কার টি দুর্ঘটনায় পড়ে যায়। তিনি অল্প আহত হলেও তার ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের দুটি পা ভেঙেছে, কোমরের হাড় ভেঙেছে। ড্রাইভারের অবস্থাও ভাল ছিলনা। এয়ার ব্যাগের কারণে বড় দুর্ঘটনা থেকে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। সহকর্মীদের অনেকেই তাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতালে এত অসুস্থ মানুষ, এত কষ্ট, এত অসহায়ত্ব। সবাই আমাদেরই মত কেউ না কেউ। যেকোনো সময় আমরাও এখানে থাকতে পারি। সবাই যে রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় বিষয়টা এমন নয়, অনেকে দুর্ঘটনা কবলিত হয়েও হাসপাতালে ভর্তি হয়।
আমার কাছে মনে হয়, বিপদের আরেক নাম বিস্ময়। নেগেটিভ বিস্ময়। অনেক টাকা পয়সাওয়ালা লোক বিপদে পড়ে চোখের পলকেই নিঃস্ব হয়ে যায়। অনেকে বিপদে পড়ে ঘর ছাড়া হয়, জুলুম নির্যাতন সহ্য করে, মানসিক শারীরিক হয়রানির শিকার হয়।
এজন্য যত সময় আমরা ভাল থাকি, ততো সময় মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা দরকার, যেন পরবর্তী দিনগুলো আমাদের বিপদমুক্ত কাটে। আর বিপদের মুহূর্তেও আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া দরকার, যেন দ্রুত বিপদ কেটে যায়। বিপদমুক্ত কাটুক আমাদের প্রত্যেকের জীবন।
লেখক: উপ পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।