হায়রে অসাধু ব্যবসায়ী!
অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে করোনা বিষয়টা যেন আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিয়েছে। ৩০ টাকার মাস্ক বিক্রি করছে ২০০ টাকায়। স্যানিটাইজার পেতে গেলে নিলামে অংশগ্রহণ করে কিনতে হচ্ছে। যে নিলামে জিতবে, সেই স্যানিটাইজার পাবে। খবরে দেখলাম, ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া মাস্ক সংগ্রহ করে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করার পর ইস্ত্রি করে আবার বাজারে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। হায়রে অসাধু ব্যবসায়ী! কতটা অসভ্য আমরা! এরকম একটি দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে সবাই যখন অনিরাপদ, তখন এই অসাধু মানুষগুলোর চিন্তা ভাবনা আর কত নিচে নামতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা বাজারেও একই অবস্থা। অনেকেই ১২০০ টাকার বস্তার চাল ১৬০০ টাকায় বিক্রি করছে, ৩০ টাকা কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। দেশীয় উৎপাদিত পণ্য, পর্যাপ্ত ফলন এবং যেখানে আমদানি সংক্রান্ত কোন ঝামেলা নাই, সেখানে দুই এক দিনের ব্যবধানে এই দাম বাড়বে কেন? সাধারণ মানুষগুলোকে জিম্মি করে অবৈধভাবে কারবার, আমাদের বিবেক কোথায় চলে গেছে? ভালো ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ড নষ্ট করে দিচ্ছে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা।
মনে করেন, বেশি দামের কারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাস্ক, স্যানিটাইজার কিছু মানুষ কিনতে পারল না। কয়েকদিন পরে হয়তো তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত হল। এরপর কোন এক জায়গায় করা আক্রান্ত মানুষের লেনদেনের টাকা অথবা অন্য যেকোনো কিছু যদি কোনভাবে অসাধু ব্যবসায়ীর হাতে এসে পরে, তখন তিনি বাঁচবেন কীভাবে? করোনাভাইরাসের কাছে সবাই কিন্তু সমান।
নগর পুড়লে কখনো দেবালয় এড়ায় না। বিষয়টা অসাধু ব্যবসায়ীদের মাথায় রাখা উচিত।
লেখক: যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।