শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার রাসায়নিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বোমা হামলায় নিহত ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ভূমিকম্পে ভানুয়াতুতে নিহত বেড়ে ১৪ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 1 May, 2020 15:28

কোভিড-১৯, মানসিক স্বাস্থ্য ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা

কোভিড-১৯, মানসিক স্বাস্থ্য ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা
অন্তর সরকার :

দেশ ও বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, লকডাউন, বেড়ে চলা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এই বিষয়গুলো আমাদের মানসিক শান্তি বিনষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। নানা ধরণের গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের করে তুলছে বিচলিত। ঘরবন্দী জীবণে থেকে এসব নেতিবাচক বিষয় সারাক্ষণ মনে বিচরণ করার ফলে আমরা মানসিকভাবে হয়ে পড়ছি দুর্বল। মহামারী কোভিড-১৯ আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, নিয়ে এসেছে অনিশ্চয়তা, আর্থিক সঙ্কট এবং আমাদের সবাইকে সামাজিক বন্ধন থেকে নিয়ে এসেছে অনেকটা দূরে। এর ফলে অধিকাংশ ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে স্ট্রেস, উদ্বিগ্নতা, ভয় ও একাকীত্ব কাজ করছে যার ফলে মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই মহামারী থেকে পরিত্রাণের মহাঅস্ত্র হচ্ছে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কার্যকর ও শক্তিশালী করে তুলতে মানসিক স্বাস্থ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ইমিউনো সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে যুদ্ধক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা হয় যা রোগজীবাণুর সংক্রমণ থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। শ্বেতরক্তকণিকা বা লিউকোসাইটস এরাই হলো এই যুদ্ধক্ষেত্রের সৈনিক যারা রোগজীবাণু প্রতিরোধ করে থাকে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়। বিভিন্ন গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে মানসিক সাস্থ্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে তখন তা শরীরে রোগজীবাণুর সংক্রমণকে সহজ করে তোলে এবং শুধুমাত্র সুষম খাদ্য এবং ব্যায়াম এর সমাধান দিতে পারেনা যদিনা মানসিক ভাবে আপনি সুস্থ থাকেন।

আমাদের শরীরে দুই ধরণের স্ট্রেস কাজ করে আর সেগুলো হলো "ইউস্ট্রেস" এবং "ডিস্ট্রেস"। ইউস্ট্রেস বলতে বোঝায় ইতিবাচক স্ট্রেস যেটি কোন উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য শরীর ও মনকে উদ্দীপনা যোগায় অন্যদিকে ডিস্ট্রেস বলতে বোঝায় নেতিবাচক স্ট্রেস বা মানসিক চাপ যা অতিরিক্ত চিন্তা, উদ্বিগ্নতার উদ্রেক করে এবং ফলপ্রসূ ও ইতিবাচক চিন্তা নষ্ট করে। ফলস্বরুপ, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষই অনিশ্চয়তায় ভুগছে ও ডিস্ট্রেস এর দিকে ধাবিত হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন গবেষণামতে, আমরা একটা বিষয়কে নিয়ে নিজের মধ্যে যেভাবে চিন্তা করি সেটিই নির্ধারণ করে আমাদের মধ্যে ইউস্ট্রেস নাকি ডিস্ট্রেস কাজ করবে। করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তের পাশাপাশি পুরোপুরি উদ্ধার হওয়া দেশ, সুস্থ হওয়া রোগী, বিভিন্ন ঔষধ ও ভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক সাফল্য এসব বিষয় নিয়ে ভাবলে আমরা ডিস্ট্রেস থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবো।ফিনল্যান্ড এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায় যে- মানুষের প্রতিকূল ব্যল্যকাল, সমস্যায় জড়ানো জীবণ ও ঘুমের সমস্যাজনিত স্ট্রেস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। এই গবেষণায় আরো দেখা গেছে যে, বিশ্বব্যাপী মানুষের অক্ষমতার জন্য দায়ী একটি রোগ "মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার" এর ইমিউনো সিস্টেম এর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। সাইটোকাইনকে ইমিউনো সিস্টেম এর মার্কার বলা হ্য় এবং স্ট্র্বেসড মানুষে এর মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে মাংসপেশিতে ব্যাথা, বুকে ও পেটে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় যেগুলো শারীরিক অসুস্থতার চেয়েও বেশি মানসিক অসুস্থতার কারণ নির্দেশ করে। এরকম স্ট্রেসফুল মানুষের ইমিউনো সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়।

বিভিন্ন জার্নালে পাওয়া তথ্যমতে, একাকীত্ব, অবসাদ, বিষণ্ণতা ও বিষাদগ্রস্ত এবং সমাজচ্যুত মানুষের শরীরে স্ট্রেস হরমোন যেমন এড্রেনালিন ও কর্টিসোল এর মাত্রা বেশি পাওয়া যায় যেগুলোর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে ইমিউনো সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে যখন আমরা নিজেকে চাপমুক্ত ও অবসাদহীন অনুভব করি তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো কাজ করে। স্ট্রেস ইমিউনো সিস্টেমকে অতিরিক্ত ক্রিয়াশীল করে অটোইমিউনো ডিসঅর্ডার যেমন আর্থ্রাইটিস এবং স্ক্লেরোসিস এর মতো রোগও সৃষ্টি করতে পারে। ডিপ্রেশন বা অবসাদ শুধুমাত্র মানসিক সমস্যা নয়, এটি শরীরের অন্যান্য কার্যকলাপকেও গুরুতরভাবে ব্যাহত করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ইউনিভার্সিটি অব কেনটাকী এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার যৌথ গবেষণায় পাওয়া তথ্যমতে, দীর্ঘমেয়াদী বিষন্নতায় ভুগতে থাকা রোগীদের লিম্ফোসাইট-টি কোষের অ্যান্টিজেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া কম দেখা যায় এবং বয়সের সাথে তাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হারে কমে যায়। দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা যেমন আমাদেরকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে ঠিক একইভাবে অবসাদ, বিষণ্ণতা, অতিরিক্ত চিন্তা আমাদের শরীরকে রোগ জীবাণুর প্রতি আরো সংবেদনশীল করে তোলে যা আমরা বুঝতেও পারিনা অনেকসময়।

যখন আমরা বিষণ্ণ থাকি তখন আমরা কোন খারাপ পরিস্থিতিকে বাস্তবের চেয়ে আরো গুরুতরভাবে অনুভব করতে শুরু করি ও ভয় পাই যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যে বিঘ্ন ঘটায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। মন ও শরীরের এই সংযোগের সুন্দর ব্যাখ্যা দেওয়া যায় 'প্লেসবো ইফেক্ট' দ্বারা যেখানে আমাদের বিশ্বাস আমাদের শরীরকে সচল ও সুস্থ করে তুলতে ভূমিকা রাখে। "প্লেসবো ইফেক্ট" এ কোন প্রকার সত্যিকারের ঔষধ ব্যবহার করা হয়না, এখানে কোন চিকিৎসার প্রতি আমাদের মনের অগাধ বিশ্বাস আমাদের রোগমুক্তিতে ভূমিকা রাখে। সহজভাবে বলতে গেলে যখন আমরা ইতিবাচক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে মস্তিষ্কে বার্তা পাঠাই তখন মস্তিষ্ক সুষ্ঠুভাবে শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বজায় রাখে অন্যদিকে আমাদের নেতিবাচক চিন্তা ও অবিশ্বাস মস্তিষ্কের এই তথ্য আদান-প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করে যা শরীরে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে তোলে। "প্লেসবো ইফেক্ট" নির্ভর চিকিৎসায় রোগীদের অগাধ বিশ্বাস তাদের তাড়াতাড়ি রোগ ও সংক্রমণ থেকে মুক্তির কারণ হিসেবে প্রমাণিত। তাই বলা যায় আমাদের ইতিবাচক বিশ্বাস আমাদের বিষণ্ণতার কারণগুলোকে দূরে রাখে ও শরীরব্যবস্থাকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে যার ফলে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে।

বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাস নামক দুর্যোগে সর্বোচ্চ সতর্কতার পাশাপাশি প্রয়োজন নিজের মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা ও নিজের যত্ন নেয়া। মানসিক অবস্থার ওপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আমাদেরকে এই মহামারীর উদ্বিগ্নতা, নেতিবাচক চিন্তা থেকে অনেকাংশেই দূরে রাখতে পারে যা আমাদের শারীরিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে নির্বাহ করতে সাহায্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখবে । মানসিকভাবে নিজেদের সুস্থ রেখে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে আমরা কিছু সাধারণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি। যেমনঃ

দৈনন্দিন যেসব কাজ ছিলো সেগুলোর সাথে যতদূর সম্ভব সম্পর্ক সাখতে চেষ্টা করা। হতে পারে লেখাপড়া, অফিসের কাজ কিংবা অন্যান্য। এতে করে আপনি নিজের জীবণযাত্রা কিছুটা হলেও স্বাভাবিক অনুভব করবেন।

মনে মনে একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করে বা ক্যালেন্ডারে চিহ্নিত করে নিয়ত করতে পারেন যে সেই তারিখে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেই তারিখে সব স্বাভাবিক না হলে বিষণ্ণ না হয়ে পরবর্তী তারিখ ধার্য করতে পারেন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে ও চিন্তা কমবে।

জানালা বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে পারেন। এতে করে আপনার বাইরে যেতে না পারার একধরণের অপূর্ণ ইচ্ছা কিছুটা প্রশমিত হবে যা মন ভালো রাখবে।

যার যার ধর্মের প্রার্থনাকার্যে সময় দিতে পারেন। আপনার অতীতে করা যেকোন ভুল কিংবা অপরাধের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। এতে মন হালকা হবে।

ইতিবাচক চিন্তা করুন ও আশাবাদী হোন। শুধুমাত্র মৃত ও আক্রান্তের হারের কথা চিন্তা না করে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া মানুষ, পরীক্ষামূলকভাবে সফল এমন ঔষধ, ভ্যাক্সিন এসবের কথা ভাবুন যা আপনার ভয় কমাবে।

আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ান। এটা মনে করুন যে জীবণে সবকিছু সবসময় পরিকল্পনামতে ও স্বাভাবিকভাবে হয়না আর এর চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ থেকেও মানুষ পরিত্রাণ পেয়ে এসেছে অতীতে।

এই বন্ধে সম্ভবপর কিছু কাজের তালিকা তৈরি করুন যা আপনি সত্যিই শেষ করতে পারবেন কারণ অতিরিক্ত কাজ করার চিন্তা ও সবগুলো করতে না পারার ব্যর্থতা উভয়ই আপনাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করতে পারেন যেগুলো আপনার চিন্তাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবে এবং দুশ্চিন্তা দূর করবে।

পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। অযথা রাগারাগি করলে আপনার বাসায় থাকাটা দুঃসহ হয়ে উঠবে যেটা আপনার মনকে ভারাক্রান্ত করে তুলবে।

অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। নিজে করতে অপারগ হলে অন্যদের উৎসাহ দিন। এটা আপনার মানসিক প্রশান্তি বাড়াবে।

সারাদিন পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন, ইন্টারনেট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের পরিসংখ্যান দেখা থেকে বিরত থাকুন। দৈনিক এক বা দুইবার প্রয়োজনমতো জেনে নেয়াই যথেষ্ট।

বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি দেখা না করে ফোন, মেসেজ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নেয়াটাই শ্রেয় এখন।

টেলিভিশন, স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার একনাগাড়ে ব্যবহার না করে কিছু সময় যেমন ২০-৩০ মিনিট কিংবা ১ ঘন্টা ব্যবধানে ব্যবহার করুন অন্যথায় একঘেয়েমি কাজ করবে এবং আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তুলবে।

মেডিটেশন কিংবা কিছু সময়ের জন্য মৌন থাকতে পারেন, লম্বা শ্বাস নিতে পারেন কিছু সময় পর পর। এতে করে মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে ও মনে প্রশান্তি আসে।

নিয়মমাফিক ঘুমান তবে কোনভাবেই অতিরিক্ত নয় কারণ অতিরিক্ত ঘুম আপনাকে আরো বিষাদ্গ্রস্ত করে দিতে পারে।

নিয়মিত শারীরিক কসরত বা ব্যায়াম করতে পারেন। এর ফলে দুশ্চিন্তা দূর হয় এবং মন ভালো থাকে।

দুর্যোগ যখন এসেছে তখন আমাদের সম্মিলিত শক্তি যা আর কিছুই নয় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়েই তাকে জয় করতে হবে। দেশ, জাতি ও পৃথিবীর মানুষের এমন অসহায় অবস্থাতে নিজ নিজ মানসিক প্রশান্তি বজায় রেখে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধরে রাখা এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যতদিন না পর্যন্ত করোনাভাইরাস এর স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য কোন সমাধান আসছে।

তথ্যসূত্র: সায়েন্টিফিক জার্নাল ও পোর্টাল

 

লেখক: স্নাতক ৪র্থ বর্ষ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়

উপরে