শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ায় হামলা করল ইউক্রেন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 14 April, 2020 03:10

করোনা আক্রান্ত ফটো সাংবাদিক সানাউলের বাসায় হঠাৎ হাজির ডা. ফেরদৌস খন্দকার

করোনা আক্রান্ত ফটো সাংবাদিক সানাউলের বাসায় হঠাৎ হাজির ডা. ফেরদৌস খন্দকার
ফটো সাংবাদিক সানাউল হক

মনিজা রহমান:

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ফটো সাংবাদিক সানাউল হককে দেখতে রবিবার দুপুরে তাঁর জ্যামাইকার বাসায় যান ডা. ফেরদৌস খন্দকার। 
দৈনিক জনকণ্ঠে দীর্ঘদিনের সহকর্মী সানাউল হক নিউইয়র্কে এসেছেন এক বছরের কম সময় আগে। সর্বশেষ ডেইলি নিউএজ পত্রিকায় প্রধান ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বসবাসের উদ্দেশ্যে সপরিবারে নিউইয়র্ক শহরে আসেন তিনি। নতুন দেশে স্থায়ী হবার জন্যে দিন রাত লড়াই করছেন সানাউল হক ও আশরাফি হক সাকি দম্পতিকে। মেয়েকে ভর্তি করান লাগোর্ডিয়া কলেজে। ছেলে জ্যামাইকার সাফটিন বুলভার্ডে বাসার কাছে পাবলিক স্কুলে এইটথ গ্রেডে পড়ে। 
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে সানাউল হক আর সবার মতো গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। এরমধ্যে ফটো সাংবাদিক স্বপন হাইয়ের মৃত্যু হয়। নিউইয়র্ক কমিউনিটিতে পরিচিত সাংবাদিকদের মধ্যে সানাউল হকই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি স্বপন হাইয়ের জানাজায় গিয়েছিলেন নিউজার্সির মার্লবোরো গোরস্থানে। 
স্বপন হাইয়ের মৃত্যুর শোক না ভুলতেই সানাউল হক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা নানা সমস্যা দিন পার করছিলেন এতদিন। ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত এ্যান্টি বায়োটিকস খাচ্ছিলেন। এরমধ্যে শনিবার গভীর রাতে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে ওঠেন। তার স্ত্রী সাকি দিশেহারা হয়ে সানাউল হকের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক বন্ধুদের ফোন করতে থাকেন। এরমধ্যে সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী যোগাযোগ করেন নিউইয়র্কে বাঙালী কমিউনিটির জনপ্রিয় ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের সঙ্গে। রাতেই তিনি সানাউলকে ফোন করে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননা সানাউল হক। সব মিলিয়ে অকুল পাথারে পড়ে তিনি ও তাঁর পরিবার। 

                                                     ডা. ফেরদৌস খন্দকার

রবিবার দুপুরে দেবদূতের মতো সানাউল হকের জ্যামাইকার বাসায় হঠাৎ হাজির হন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। তিনি রোগীকে ভালো ভাবে চেক আপ করেন। শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যার জন্য নেবুলাইজার দেন। জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়া যাতে না হয় এজন্য আলাদা ভাবে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। শ্বাসকষ্ট হলে কি ধরনের ব্যায়াম করতে হবে, সেটা দেখান। আধ ঘন্টার বেশী সময় ডাক্তার তার বাসায় অবস্থান করেন বলে জানিয়েছেন সানাউল হকের স্ত্রী আশরাফি হক সাকি। তিনি শেষে বলেন, ‘ডাক্তারকে দেখে আমার স্বামী যেন অর্ধেক সুস্থ হয়ে গেছেন।’

 

উপরে