একটি ম্যাচের ছন্দপতনেই দলে বিপর্যয় নেমে এসেছে : মাশরাফি
হঠাৎ করেই বিপর্যয় নেমে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ঘরের মাঠের বাঘের পরিণত হয়েছে নীরিহ গোছের বিড়ালে। শ্রীলঙ্কার ভাঙাচোরা দলের বিপক্ষে দেশের মাটিতে পরপর তিনটি সিরিজ হার। কিন্তু কেন এই বিপর্যয়? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার মুখোমুখি হন সাংবাদিকরা। অভিজ্ঞ টাইগার ক্যাপ্টেন বলেন নিজের উপলব্ধি আর পর্যবেক্ষণ নিয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সফর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে গিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১টি ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে ছাড়া জয় নেই বাংলাদেশের। মাশরাফি অবসর নেওয়ার পর কোনো টি-টোয়েন্টিতে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাই আসন্ন নিদাহাস ট্রফিতে অবসর ভেঙে ম্যাশকে ফেরার আমন্ত্রন জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আজ সাংবাদিকদের সাথে নিজের ফেরার বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও ম্যাশ কথা বলেন গত তিনটি সিরিজ নিয়ে। তার মতে, ঘরের মাঠে একটা সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটারদের মান বিচার করাটা কিছুটা অন্যায় হবে। তিনি বলেন, 'আফগানিস্তান সাথে একটি ম্যাচ হেরেছিলাম। ইংল্যান্ডের সাথেও সিরিজ হেরেছিলাম। এখানে টেস্ট ও টি টোয়েন্টিতে হেরেছি। ওয়ানডের শুরুটা ভালো ছিল।'
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের চতুর্থ ওয়ানডে থেকে খারাপ সময় যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের। চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ আর সেটাই তাদেরকে মানসিকভাবে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন মাশরাফি। ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শুরু করে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে তিন ফরম্যাটে ৯টি ম্যাচে মোট ৩২ জন ক্রিকেটার খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে।
দল নিয়ে বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাশ বলেন, 'ওয়ানডেতে বেশি পরীক্ষা হয়নি। এটা শুরু হয় সাকিব আল হাসান যখন আঘাত পায় তখন থেকে। সাকিবের অভাব পূরণ করতে দুজন ক্রিকেটার প্রয়োজন। সাকিব যেহেতু ফিরে আসছে এই অভাব থাকবে না। দলে অস্থিরতা থাকবে না বলেই মনে হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'টি টোয়েন্টিতে কয়েকজন নতুন ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়ে নির্বাচকরা ক্রিকেটারদেরকে একটি বার্তা দিয়েছেন। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে (২০২০ সালে)। তাই নতুন ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় পাবে।'
এছাড়া হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়ে শ্রীলঙ্কার কোচ হিসেবে এসেছিলেন। এটা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়ার একটা কারণ হতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টা উড়িয়ে দেন মাশরাফি। সব ক্রিকেটাররাই অন্তত কথাবার্তায় পজেটিভ ছিল। ম্যাশের মতে, ওই একটি ম্যাচের ছন্দপতনই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে পরবর্তী ম্যাচগুলোর।