ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার
আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেও ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নেয় নিউজিল্যান্ড। এবার আর শেষরক্ষা হয়নি তাঁদের। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনাল ম্যাচে কিউইদের ১৯ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই জয় দিয়ে পুরো সিরিজেই অপরাজিত রয়ে গেল ডেভিড ওয়ার্নারের দল।
অকল্যান্ডে টস জিতে স্বাগতিক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন বেছে নিয়েছিলেন ব্যাটিং। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ব্যাটে কিউইদের শুরুটাও ছিল চমৎকার। তবে কলিন মুনরো (২৯) আর মার্টিন গাপটিলের(২১) জুটি একটু থিতু হতে পেরেছিল। বাকি সব ব্যাটসম্যান ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
রস টেলর অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসটা খেলতে না পারলে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ড ছুঁত না দেড়শোর ঘর। ৩৮ বলে দুটি চার আর এক ছয়ে টেলরের হার না মানা ইনিংসে নির্ধারিত ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান। অ্যাস্টন অ্যাগার অসিদের হয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। জোড়া উইকেট শিকার করেছেন অ্যান্ড্রু টাই এবং কেন রিচার্ডসন।
জবাব দিতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার আর ডার্চি শর্টের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়া পায় উড়ন্ত সূচনা। ৭২ রানের জুটিতে অবশ্য ওয়ার্নারের অবদান মাত্র ২১ রান। ৩০ বলে ছয় চার ও তিক ছক্কায় সংগ্রহ ছিল ৫০ রান। অবশ্য মাঝখানে কিছুটা বিপদে পড়লেও অ্যারন ফিঞ্চকে সঙ্গে নিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রুখে দাঁড়ান। জয়ের বন্দরে যখন অস্ট্রেলিয়ার তরী ভিড়বে ভিড়বে করছে ঠিক তখনই ম্যাচে হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি।
অবশ্য বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার জয়ে। বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়া ট্রান্স-তাসমান ট্রফি জিতে নেয় ১৯ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা যায় অ্যাস্টন অ্যাগারের হাতে। আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল জিতে নেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৫০/৯ (টেলর ৪৩*, মুনরো ২৯, গাপটিল ২১। অ্যাগার ২৭/৩, রিচার্ডসন ৩০/২, টাই ৩০/২)।
অস্ট্রেলিয়া : ১৪.৪ ওভারে ১২১/৩ (শর্ট ৫০, ওয়ার্নার ২৫, ম্যাক্সওয়েল ২০*, ফিঞ্চ ১৮*। মুনরো ১৮/১ সোধি ২১/১)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ১৯ রানে জয়ী (বৃষ্টি আইনে)।
ম্যাচ সেরা : অ্যাস্টন অ্যাগার (অস্ট্রেলিয়া)।
সিরিজ সেরা : গ্লেন ম্যাক্সওয়েল(অস্ট্রেলিয়া)।