বাংলাদেশে যাচ্ছেন না ফারব্রেস
গত বছরের শেষ থেকেই কোচবিহীন বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে কোচ ছাড়াই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজে পরাজিত হয়েছে। এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজও খুইয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ কোচ ছাড়াই শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে অংশগ্রহণ করছে। এই সফরের জন্য বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালসকে হেড কোচ নিয়োগ করে শ্রীলঙ্কা পাঠিয়েছে বিসিবি। কথা ছিল শ্রীলঙ্কা থেকে এসেই নতুন হেড কোচ পাবে বাংলাদেশ। সে পথে অনেকটা অগ্রসরই হয়েছিল বিসিবি।
সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ পল ফারব্রেসই হতেন টাইগারদের নতুন কোচ। কিন্তু হঠাৎ করে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশকে না বলে দিয়েছেন তিনি। এমন খবর নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। ফারব্রেস বর্তমানে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ দলের সাথে প্রথম দুই ম্যাচে দলের সাথে শ্রীলঙ্কাতেই ছিলেন। সেখানে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন খুব শিগগিরই বড় নাম শোনা যাবে বাংলাদেশ দলের কোচের পদে।
গত ৭ মার্চ কলোম্বোতে বিসিবি প্রধান বলেছিলেন, সবার চেনা জানা একজনকেই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই নাম জানিয়ে দেয়া হবে।
সেই চেনা জানা পরিচিত নামটাই ছিল কেন্টের ৫০ বছর বয়সী পল ফারব্রেস। যিনি ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান কোচের দায়িত্বেও ছিলেন। তখন পাকিস্তানে লঙ্কান দলের বাসে হামলার সময়ও সেই বাসে ছিলেন।
বিসিবি প্রধানের কথামত চলতি সিরিজের পরপরই দলের সাথে যোগ দেয়ার কথা ছিল পলের। চুক্তি সইয়ের জন্য চুক্তিপত্রও পাঠানো হয়েছিল ইংল্যান্ডে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চুক্তিপত্রে সই করেননি পল ফারব্রেস। জানা গেছে পরিবারের নিষেধ অমান্য করে তিনি আসতে চাচ্ছেন না বাংলাদেশে।
পলের তত্ত্বাবধায়নে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। এসব দেখেই বিসিবি প্রধান তার প্রতি আগ্রহ দেখান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর না হওয়ায় বিকল্প চিন্তা করতে হবে বিসিবিকে। ১১ মার্চ বিসিবি প্রধান গণমাধ্যমকে জানান, এই সিরিজ শেষেই আমরা কোচ চুড়ান্ত করে ফেলবো। দুই-তিনজনকে ডাকবো। তাদের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দিবো।
এছাড়াও টাইগারদের দুই সাবেক কোচ জেমি সিডন্স এবং স্টুয়ার্ট ল’কেও প্রস্তাব দেয়া হয়। যার শুরুতেই না করে দেন জেমি সিডন্স। স্টুয়ার্ট ল বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই না করতে পারে সেক্ষেত্রে বিবেচনা করবো।
স্টুয়ার্ট ল’র এমন কথায় বেঁকে বসে বিসিবি। বোর্ডের মতে, যার অধীনে একটা দল বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ড পার করতে পারবেনা তাকে কেনো কোচ করবো।
নাজমুল হাসানের আক্ষেপ, টি-টয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের যুগে ভালো কোচ পাওয়াটাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।