শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 28 March, 2018 11:18

বল টেম্পারিং: নিষিদ্ধ স্মিথ-ওয়ার্নার-ব্যানক্রাফট

বল টেম্পারিং: নিষিদ্ধ স্মিথ-ওয়ার্নার-ব্যানক্রাফট
স্পোর্টস ডেস্ক :

মাস খানেক আগে যখন দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমানে উঠেছিলেন তারা, ক্রিকেট গ্রহের অন্যতম উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র হিসেবে দুনিয়া চিনতো তাদের। আর আজ তারা যখন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরার বিমানে উঠবেন, তাদের পরিচিতি হবে ক্রিকেটের কলঙ্কিত নায়ক হিসেবে। তারা স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রাফট।

বল বিকৃতির ঘটনায় এ তিনজনকেই নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট বোর্ড (সিএ)। কেপটাউনে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তিন ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড। অবশ্য তাদের কত দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে এটি জানানো হবে আজ বুধবার।

জানা যায়, ব্যানক্রাফট কাণ্ডটি ঘটালেও নাটের গুরু হলেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তদন্তেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এ তিনজন। এছাড়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ ব্যাপারে দলের কোচ ড্যারেন লেহম্যান কিছুই জানতেন না। তাই চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে।

সে কারণে আজ বুধবার দেশে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে তাদের। শুধু দেশে ফিরিয়ে নিয়েই ঘটনার শেষ করছেন না তারা। বরং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের শাস্তি ঘোষণা করার কথাও জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, প্রাথমিক তদন্তের পরে আমরা দেখেছি, এই তিন ক্রিকেটারই বোর্ডের আচরণবিধির ২.৩.৫ ধারা ভেঙেছে। এদের তিনজনই দেশে ফিরে যাবে। বদলি তিন ক্রিকেটাররা শেষ টেস্টের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেবে।

স্মিথের বদলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্বে দেবেন টিম পেইন। বাকি দুজনের জায়গায় দেশ থেকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে তিনজনকে। এঁরা হচ্ছেন-ম্যাট রেনশ, জো বার্নস ও অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে।

গত শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতির ঘটনা ঘটে। অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ক্যামেরন ব্যানক্রাফটকে দেখা যায় হলুদ টেপ জাতীয় কিছু হাতে নিয়ে বল ঘষতে। পুরো ব্যাপারটি ধরা পড়ে টেলিভিশন ক্যামেরায়। পরে অস্ট্রেলিয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন বল বিকৃতির পরিকল্পনার কথা। বিষয়টি আলোড়ন তুলেছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়। 

বল বিকৃতির স্বীকারোক্তির পরের দিনই অস্ট্রেলিয় সরকার স্মিথকে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে চাপ দেয়। ফলশ্রুতিতে অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও সরে দাঁড়ার তার পদ থেকে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি অবশ্য বল বিকৃতির এই ঘটনায় একটি টেস্ট থেকে নিষিদ্ধ করে স্মিথকে। জরিমানা করা হয় তার ম্যাচ ফির পুরো অংশ। ব্যানক্রফটকে নিষেধাজ্ঞা না দিলেও করা হয় ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা ও যোগ হয় তিন ডিমেরিট পয়েন্ট।

ঘটনাটি নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তারা এ ব্যাপারে তদন্তও শুরু করে। ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখতে দক্ষিণ আফ্রিকা রওনা হয় তাদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলই তদন্ত শেষে নিষিদ্ধ করেছে তিন ক্রিকেটারকে।

এদিকে, ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ কোচ ড্যারেন লেহম্যানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল। ঘটনার পর থেকেই লেহম্যান চুপচাপ রয়েছেন। টেলিগ্রাফ জানিয়েছিল, লেহম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। তবে সাদারল্যান্ডের সংবাদ সম্মেলনের পর লেহম্যানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় নেই। পদত্যাগ যেহেতু তিনি করেননি, সে কারণেই কোচ হিসেবে কাজ করে যাবেন তিনি।

সাদারল্যান্ড জানিয়েছেন, যখনই ঘোষণা আসুক তিন ক্রিকেটার যথেষ্ট কঠোর শাস্তিই পেতে যাচ্ছেন। এই ঘটনায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কতটা মর্মাহত, সেটাও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এখন থেকে ক্রিকেটারদের আচরণবিধিটি নতুন করে পর্যালোচনা করবে। এই মুহূর্তে ক্রিকেট-পাগল অস্ট্রেলিয়রা যেন জাতীয় দলের ব্যাপারে বিশ্বাস ফিরে পান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সে উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে যাবে।

উপরে