গোল্ডেন বল জিতলেন লুকা মড্রিচ, বুট কেন, গ্লাভস কোর্তোয়া
তারুণ্য নির্ভর ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো ২১তম বিশ্বকাপের। অসংখ্য রেকর্ড হয়েছে এবারের আসরে।
কিছু স্থায়ীভাবে বসে গেছে রেকর্ড বুকে, বাকিগুলো হয়ত আগামীর কোনও একটি আসরে ভেঙে যাবে। ফুটবল মানেই রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। রেকর্ড হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালেও। তাও একটি নয়, এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মুখ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব।
আবার দেখা মিলবে বিশ্বকাপের। তবে তা চার বছর পর কাতারে। তত দিন পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বের রাজত্ব থাকলো ফ্রান্সের কাছে।
এবারের আসরে গোল্ডেন বল কে পাচ্ছেন তা পরিস্কার ছিল না। ফাইনাল শেষে তা স্বচ্ছ হয়ে গেল। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হারিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন লুকা মড্রিচ।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে অসামান্য অবদান মড্রিচের। টুর্নামেন্টে ২ গোল করেছেন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি মিস করলেও টাইব্রেকারে নিশানাভেদে তা পুষিয়ে দেন। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দৌড়ে খেলা ফুটবলার তিনিই। ক্রোয়াটদের ৭ ম্যাচের ৩টিতেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এবার আর কোনো খেলোয়াড়ের হাতেই তা উঠেনি।
ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নযাত্রার আরেক সৈনিক ইভান রাকিটিচ। মাঝমাঠে তার সঙ্গে অসাধারণ জুটি গড়ে তোলেন মড্রিচ। তবে আসল কাজটা করেন এ মিডফিল্ডারই। পুরো দলের খেলার নাটাইটা থাকে তার হাতেই। তিনি যেমন খেলেছেন, খেলিয়েছেন ও আক্রমণ প্রতিরোধ করেছেন। দলকে মূলত পরিচালনা করেছেন এ ৩২ বছরের ফুটবলারই। সার্বিক বিবেচনায় সেরা খেলোয়াড়ে পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
ফাইনাল শুরুর আগে গ্রিজম্যান ও এমবাপে ৩ গোল করে কেনের ৬ গোলকে স্পর্শ করার লক্ষ্যে ছিলেন। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে দুইজনেই মাত্র ১টি করে গোল করতে পারলে গোল্ডেন বুটটি নিজের করে নেন হ্যারি কেন।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছিল হ্যারি কেন। তার বাকি পাঁচটি গোলের তিনটিই এসেছে পানামার বিপক্ষে এবং অপর দুটি এসেছে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে। বিশ্বকাপে ৬ গোলের ভেতর তিনটিই করেছেন পেনাল্টি থেকে।
৬ গোল করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার মাধ্যমে সাবেক ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারকে স্পর্শ করলেন কেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে লিনেকার ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৩ গোল করে এখন পর্যন্ত এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা ফ্রান্সের জাস্ট ফন্তেইন। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে ১১ গোল করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন হাঙ্গেরির ককসিস। ১৯৭০ বিশ্বকাপে গার্ড মুলার করেছিলেন ১০ গোল।
উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে ট্রফি পেয়েছেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। আর গোল্ডেন গ্লাভস পেয়েছেন বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান জয়ী দল বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোর্তোয়া।