ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মিচেল জনসন
২০১৫ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে ছিলেন। এরপর বিভিন্ন দেশের ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগগুলোতে নিয়মিত খেলে যাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল জনসন।
আইপিএলের সর্বশেষ মৌসুমেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন এ বাঁহাতি পেসার। ‘পার্থ নাউ’ এর এক কলামে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের কথা জানিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সি এ গতি তারকা।
জনসন অবশ্য আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শরীরটা সায় দেয়নি। তাই বিদায় বলতে বাধ্য হন।
ক্রিকেট থেকে অবসর প্রসঙ্গে জনসন জানান, এবার শেষ। আমি আমার শেষ বলটা করে ফেলেছি। শেষ উইকেটটিও নিয়ে নিয়েছি। আজ আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলো খেলার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু শরীর আমাকে সহায়তা করছে না।
তিনি বলেন, ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও এই মঞ্চ থেকে বিদায় নেব না। আপাতত কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার ইচ্ছে আছে। নয়তো কোনও দলের বোলিং মেন্টর হিসেবে কাজ করতে চাই।
গত আইপিএল মৌসুম থেকেই পিঠের সমস্যায় ভুগছেন জনসন। কলকাতা এ পেসারকে ২ কোটি রুপিতে কিনলেও মাঠের পারফরম্যান্সে নিজেকে সেভাবে জানান দিতে পারেননি জনসন। ছয় ম্যাচে ২১৬ রান খরচায় তিনি নিতে পেরেছিলেন মাত্র ২টি উইকেট। তবে আইপিএলের তুলনায় সবশেষ বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্ট দারুণ খেলেছেন জনসন। ২২.৭৫ ইকোনমিতে ১৯ ম্যাচে ২০টি উইকেট পেয়েছিল দানবীয় এ পেসার।
গত মাসে বিগব্যাশ লিগ খেলে পার্থ সকারকে বিদায় বলেন জনসন। চলতি বছরে পাকিস্তান সুপার লিগে করাচি কিংসের হয়ে খেলার কথা থাকলেও পরে নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে ৩৩টি ম্যাচ খেলে ৭.২৮ গড়ে ৩১ উইকেট নিয়েছেন জনসন। পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ না। তবে শরীরটাও তো সায় দিতে হবে!
২০০৭ সালে ব্রিজবেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় জনসনের। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন ৭৩ টেস্ট, নিয়েছেন ৩১৩ উইকেট। এছাড়া একটি সেঞ্চুরিসহ ব্যাট হাতে করেছেন ২০৬৫ রান। অন্যদিকে ১৫৩ ওয়ানডেতে জনসন উইকেট নিয়েছেন ২৩৯টি। আর ৩০টি টি-টুয়েন্টি খেলে উইকেট নিয়েছেন ৩৮টি।