বার্সেলোনাতেই ইতি টানতে চান গার্দিওলা
বার্সেলোনার সর্বকালের সেরা কোচ বলা হয়ে থাকে গার্দিওলাকে। তার অধীনে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জিতে কাতালান ক্লাবটি।এক সময় সিনিয়র দলটির খেলোয়াড়ও ছিলেন তিনি। তবে ফুটবলার হিসেবে দাগ কাটতে না পারলেও কোচ হিসেবে ভালোই দাগ কেটেছেন তিনি।
অথচ ২০০৭ সালে তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু বার্সেলোনার ‘বি’ টিমের দায়িত্ব দিয়ে। এর এক বছর পরই ক্লাবটির সিনিয়র দলের কোচ হন।
২০০৮-২০১২ এ চার বছর তিনটি লা লিগা, দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি কোপা দেল রে, দুটি উয়েফা সুপার কাপ, তিনটি স্প্যানিশ সুপার কাপ ও দুটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ সহ মোট ১৪টি শিরোপা ঘরে তোলেন। এরপরই বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।
মাঝে এক বছরের বিরতি দিয়ে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হন। জার্মান ক্লাবটির হয়ে তিন বছরে তিনটি বুন্দেসলিগা, দুটি জার্মান কাপ, একটি করে উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ছুঁতে পারেননি।
৪৭ বছর বয়সী এ কোচ বর্তমানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্বে রয়েছেন। গত মৌসুমে রেকর্ড ১০০ পয়েন্ট নিয়ে সিটিজেনদের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তুলতে সাহায্য করেছেন। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডে আরো কয়েক বছর থাকতে চান বলে তিনি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গার্দিওলা বলেন, আমি যেভাবে চাই সেভাবেই আমার দল খেলার চেষ্টা করবে। যেখানে শুরু করেছিলাম, সেখানে শেষ করবো। আমার শেষ যাত্রা হবে যুব দল। আশা করি সেটা বার্সাই হবে।
বার্সা ছাড়ার পর ক্লাবটির সিনিয়র দলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে বেশ কয়েকবার বলেছেন। তবে শোনা যায় ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর হয়ে ফিরতে পারেন। সিটির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে ২০২০-২১ মৌসুমে।
ফুটবলার হিসেবে গার্দিওলা বার্সেলোনা সি, বার্সেলোনা বি, বার্সেলোনা, ব্রেসসিয়া, এএস রোমা, ব্রেসসিয়া, আল-আহিল ও দোরাদোসের মত ক্লাবে খেলেছেন। ১৯৮৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্লাব ফুটবলে মাঠ মাতিয়েছেন। এ সময় তিনি ৩৫২টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং ২০টিরও বেশি গোল করেছেন।
স্পেন অনূর্ধ্ব-২১, অনূর্ধ্ব-২৩, স্পেন জাতীয় দল, কাতালুনিয়ার হয়েও তিনি মাঠ মাতিয়েছেন। এ সময় স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে দু’ম্যাচ, স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ১২ ম্যাচে ২ গোল, স্পেন জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ ম্যাচে ৫ গোল এবং সবশেষ কাতালুনিয়ার হয়ে ৭ ম্যাচ খেললেও কোনও গোল করতে পারেননি।