দু'দিনেই আফগানিস্তানকে টেস্ট হারাল জিম্বাবুয়ে
বেশ হাঁকডাক দিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিল আফগানিস্তান। তবে নিরপেক্ষ ভেন্যু আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি আজগর আফগানের দল। পাঁচদিনের টেস্টে আফগানিস্তানকে মাত্র দুইদিনেই হারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ১০ উইকেটে পাওয়া জয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল শেন উইলিয়ামসের জিম্বাবুয়ে।
আহমেদাবাদ টেস্টের রেশ এখনো কাটেনি। দিবারাত্রির সেই টেস্টে মাত্র দেড় দিনেই ফলাফল বের হয়ে যায়। পাঁচদিনের ম্যাচ শেষ হয় মাত্র পাঁচ সেশনেই। সেখানে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একক আধিপত্য স্বাগতিক ভারতের। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির দল। সেই টেস্টের রেশ শেষ না হতেই দুই দিনে ফলাফল দেখল আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টেস্টটি।
আফগানিস্তান টেস্ট ক্রিকেটের নবীন দল। জিম্বাবুয়ে সে তুলনায় অভিজ্ঞ হলেও নিজেদের জৌলুশ হারিয়েছে অনেক আগেই। দুই দলের এই সিরিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ না হলেও সমর্থকদের চোখ ছিল ম্যাচের দিকে। সে রোমাঞ্চ অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আগফানিস্তান। ইনিংস হারের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাদের সামনে। ইনিংস হার এড়াতে পারলেও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয় তাদের।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১৩১ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক শেন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরির উপর ভর করে আফগানিস্তানকে টপকিয়ে লিড নেয় জিম্বাবুয়ে। উইলিয়ামসের ১০৫ রানের সঙ্গে চাকাভার ৪৪ ও সিকান্দার রাজার ৪৩ রানের সুবাদে অল আউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ২৫০ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
১১৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা আফগানিস্তান এই ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি। জিম্বাবুয়ের বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ১৩৫ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস। এতে ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে ১৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে আজগর আফগানের দল। এই লক্ষ্য টপকাতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি অধিনায়ক উইলিয়ামসের দলের। ১০ উইকেট ম্যাচ জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৫০/১০ (উইলিয়ামস ১০৫; হামজা ৬/৭৫)
আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ১৩৫/১০ (ইব্রাহিম ৭৬, তিরিপানো ৩/২৩)
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ১৭/০ (কেভিন কাসুজা ১১*)