যুক্তরাজ্যে চাপের মুখে গুগল-ফেসবুক
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট সার্চ জায়ান্ট গুগল ও সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শিশুদের রক্ষায় এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হলে এ পদক্ষেপের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রিটিশ এই মন্ত্রী।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হান্ট বলেন, শিশুদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে ‘চোখ বন্ধ’করে রেখেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে গুগলের যুক্তরাজ্য অপারেশন ও ফেসবুক জানিয়েছে, তারা শিশুদের রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ লক্ষ্যে তারা নতুন নতুন ফিচার সংযোজন করছে।
তবে ব্রিটিশ সরকার শিশুদের রক্ষায় কী ধরনের নীতিমালা আরোপ করবে সেটি বিস্তারিত জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হান্ট। তবে ইন্টারনেটে হয়রানি ও শিশুদের অনলাইনে সময় কাটানোর পরিমাণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে গুগল ও ফেসবুককে এ মাসের শেষ অবধি সময় বেঁধে দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অনলাইনে শিশুদের রক্ষায় কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিক্রিয়া ‘ব্যাপকভাবে সীমিত’এবং তাদের স্বেচ্ছামূলক অ্যাপ্রোচও যথেষ্ট নয়।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ফেসবুক, টুইটার ও স্ন্যাপচ্যাটের প্রভাব নিয়ে ব্রিটিশ সরকার রিভিউয়ের ঘোষণা দেয়ার পর এমন মন্তব্য করলেন হান্ট।
কর প্রদান, ফেক নিউজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ও চরমপন্থী কনটেন্ট এবং ব্যক্তিগত তথ্যে ব্যবহারের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেন।
ফেসবুকের যুক্তরাজ্য অংশের পাবলিক পলিসি ম্যানেজার করিম প্যালান্ট বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানাই। আমরাও অনলাইনে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহনশীল পরিবেশ তৈরি ইচ্ছা পোষণ করি।
অন্যদিকে গুগলের যুক্তরাজ্য পাবলিক পলিসি ম্যানেজার ক্যাটি ও ডেনোভান বলেছেন, আমরা স্ক্রিন টাইম লিমিট ফিচার যুক্ত করেছি এবং শিশুদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা চালু করেছি।