মঙ্গলের ভূমিকম্প মাপতে নাসার মিশন
মঙ্গল গ্রহের ভূমিকম্প মাপতে নতুন মিশন হাতে নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ভূমিকম্পের তথ্য থেকে গ্রহটির অভ্যন্তরের কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পেতে চলতি সপ্তাহে নতুন এ মিশনে নামছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি।
এ মিশনের অংশ হিসেবে ইনসাইট নামের একটি অনুসন্ধান যন্ত্র লাল গ্রহটিতে পাঠানো হচ্ছে। স্ট্যাটিক ল্যান্ডার যন্ত্রটি মঙ্গলে নামার পর সেখানকার মাটিতে সিসমোমিটার স্থাপন করবে।
শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিসমোমিটারে যুক্তরাজ্যের তৈরি একটি সেন্সরও থাকছে। এই ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মঙ্গলের ভূমিকম্প (মার্সকোয়াক) সম্পর্কে তথ্য দেবে।
পৃথিবীর সঙ্গে তুলনার পর মিলবে মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে থাকা পাথরের স্তর সংক্রান্ত তথ্যও।
ইনসাইট মিশনের প্রধান গবেষক ড. ব্রুস বেনার্ডট বলেন, ‘যখন সিসমিক তরঙ্গ মঙ্গলের চারপাশে প্রবাহিত হবে, তখন যন্ত্রটি বিভিন্ন স্তরের পাথরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গগুলোর তথ্য জোগাড় করতে পারবে।
সিসমোগ্রাফে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই বিজ্ঞানীরা সেখানকার পাথরের গঠন জানতে পারবেন। বিভিন্ন মার্সকোয়াক থেকে যখন আমরা নানান তথ্য পাব, সব মিলিয়ে আমরা মঙ্গলের অভ্যন্তরের ত্রিমাত্রিক চিত্রটি নির্মাণ করবে পারব।’
ক্যালিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে অ্যাটলাস রকেটের সাহায্যে ইনসাইডের এ ‘ল্যান্ডারটি’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫ মিনিটে অ্যাটলাসের যাত্রা শুরুর কথা রয়েছে।
যদিও কুয়াশার কারণে তা বিলম্বিতও হতে পারে। গত শতকের ৭০-এর দশকেও নাসা বেশ কয়েকটি ভাইকিং ল্যান্ডারে মঙ্গলে সিসমোমিটার পাঠিয়েছিল। যদিও গঠনের কারণে সেগুলো তেমন সফলতা আনতে পারেনি।
ইনসাইটের এবারের ল্যান্ডারটি তিন মাত্রার নিচের ভূমিকম্পও শনাক্ত করে তথ্য পাঠাতে পারবে। এই যন্ত্র বছরে ঠিক কতগুলো কম্পন শনাক্ত করতে পারবে, তা জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের আশা ল্যান্ডারটি থেকে অন্তত কয়েক ডজন ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়া যাবে।