শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ায় হামলা করল ইউক্রেন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 27 February, 2018 03:11

ব্রিটেনের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলো

ব্রিটেনের ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলো
ব্রিটিশ মিউজিয়াম
মেইল ট্রাভেল ডেস্ক :

ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা দেশগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড একটি। পর্যটকদের জন্য অনেক চমৎকার স্থান ঘুরে দেখার ও উপভোগ করার অবিরাম সম্ভাবনার দেশ ইংল্যান্ড।

 

ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের অংশ এই ছোট দেশটি অত্যন্ত প্রভাবশালী। এই দেশটির আছে আকর্ষণীয় ইতিহাস, রোমাঞ্চকর শহর ও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখানকার প্রতিটা বাঁকেই ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখা যায়। পুরাতন দুর্গ, ছবির ন্যায় গ্রাম, মধ্যযুগের কলেজ, প্রাচীন রোমান সাইট এবং শতাব্দী প্রাচীন রাজকীয় প্রাসাদ দেখা যায় দেশটিতে। ইংল্যান্ড ভ্রমণ আপনার কাছে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। ইংল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে-

 

ব্রিটিশ মিউজিয়াম, লন্ডন: প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্র এবং নৃকুলবিদ্যায় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের কিছু অসামান্য সমৃদ্ধতা রয়েছে। তিনটি সংগ্রহ, মূলত যার ওপর ভিত্তি করে এই মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে সেটি ১৭৫৯ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়।এটা প্রথমে মন্টেগু হাউস নামে পরিচিত একটি প্রাসাদে অবস্থিত ছিল এবং এই মিউজিয়ামে প্রবেশাধিকার বিনামূল্যে ছিল এবং প্রতিটি অধ্যয়নশীল এবং উৎসুক ব্যক্তিদের এখানে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হতো।

 

এই মিউজিয়ামের সবচেয়ে জনপ্রিয় চারটি বৈশিষ্ট্য ছিল- এলগিন মার্বেল, রোসেটা পাথর, গ্রেট কোর্ট এবং ম্যাগনা কার্টা। রোসেটা পাথর প্রাচীন মিসরীয় চিত্রিত বর্ণমালা অধ্যয়ন করতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করতো। এখানকার কিছু সংগ্রহ এছাড়াও প্রাচীন মধ্যপ্রাচ্যের লিপি বোধগম্যতায় সাহায্য করতো। ঘটনাক্রমে ১৮৮০ সালে প্রাকৃতিক ইতিহাসের কিছু সংগ্রহ এক নতুন ভবনে স্থানান্তরিত করা হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ক্রমবর্ধমান সংগ্রহ রাখার স্থান সংরক্ষণ করার জন্যে প্রাকৃতিক সংগ্রহসহ নতুন ভবন ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম হয়ে ওঠে।

 

লন্ডনের চিড়িয়াখানা: লন্ডনের চিড়িয়াখানা বেশ পুরোনো এবং ইতিহাসের একটু ছোঁয়া রয়েছে। এটি ১৮২৮ সালে খোলা হয় এবং শুরুর সময়ে এই চিড়িয়াখানা বিভিন্ন বিচিত্র প্রাণীর আবাস¯’ল ছিল এবং বহু প্রখ্যাত জৈববিজ্ঞানী ও গবেষকরা এখানে বসবাসকারী প্রজাতিদের ওপর বহু নিয়মিত গবেষণা সম্পন্ন করেছেন।

 

সময়ের সাথে সাথে লন্ডনের চিড়িয়াখানা বিশ্বের এক অন্যতম বিখ্যাত চিড়িয়াখানা হয়েছে ওঠে এবং বর্তমানে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি প্রথম চিড়িয়াখানা যেখানে প্রথম সরীসৃপ আবা¯’ল, প্রকাশ্য অ্যাকোরিয়াম, কীটপতঙ্গের আবাস¯’ল প্রবর্তন হয় এবং এছাড়াও এটি প্রথম শিশুদের চিড়িয়াখানা।

 

ব্রিটেনে অন্যান্য বহু চিড়িয়াখানা আছে কিন্তু কোনোটাই আকার ও প্রাণী প্রজাতির প্রাপ্যতা উভয়ের দিক দিয়ে লন্ডনের চিড়িয়াখানার মতো ব্যাপক নয়। লন্ডনের চিড়িয়াখানার এই সফর আদর্শগতভাবে অনন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দিয়েছে শুরু হয় যারা জনপ্রিয় ‘সোবেল প্যাভিলিয়ন’ হিসেবে অভিহিত, যা বানর এবং বনমানুষের আবাসস্থল। কাঠবিড়ালী, বানর থেকে গরিলা এবং ম্যাকাও পর্যন্ত সোবেল প্যাভিলিয়ন তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। সোবেল প্যাভিলিয়ন সম্পর্কে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপারটি হলো এখানকার বাসিন্দাদের জন্য প্রদিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রিমাত্রিক স্থান, যার ফলে বিশেষ করে শিম্পাঞ্জিরা খুব প্রাণবন্তভাবে ঝুলে থাকতে পারে।

 

লন্ডনের চিড়িয়াখানার অ্যাকোয়রিয়াম হলো আরেকটি উল্লেখযোগ্য আকর্ষণীয় স্থান এবং বিরল থেকে কিছু বিরলতম সামুদ্রিক মাছ এবং সামুদ্রিক প্রাণী এখানে দেখা যায়। এই অ্যাকোয়ারিয়াম একটি লম্বা কক্ষে অবস্থিত এবং এখানে প্রায় দুই লাখ গ্যালন বিশুদ্ধ জল এবং শত শত ট্যাংকি সামুদ্রিক জল রয়েছে।

 

সবমিলিয়ে লন্ডনের চিড়িয়াখানার একটি দর্শন অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কিছু বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী ও প্রায় ৭৫০টিরও অধিক প্রজাতির প্রাণীর দর্শনসহ লন্ডন চিড়িয়াখানা পরিদর্শন সত্যিই অত্যন্ত মূল্যবান।

 

লন্ডন আই: ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ লন্ডন আই একটি বৃহদায়তন পর্যবেক্ষণ চক্র, যা টেমস নদীর দক্ষিণ তীরে কৌশলগতভাবে অবস্থিত। এখান থেকে লন্ডন শহরটিকে অনেক ওপর থেকে দেখা যায়। লন্ডন শহরের ওপরে উঠে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শহরের সামগ্রিক দৃশ্য দেখার উন্মাদনায় আপনার মনে হবে আপনি যেন সপ্তম স্বর্গে আছেন।

 

এই বিস্ময়কর চিত্তবিনোদনকেন্দ্র ডেভিড মার্কস ও জুলিয়া বারফিল্ড নামক স্বামী-স্ত্রীর স্থাপত্য দলের মস্তিষ্কপ্রসূত, যারা নতুন জন্য সমসাময়িক লন্ডনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি প্রকল্পের কঠিন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন।

 

লন্ডন আই নির্মাণ করার পূর্বে লন্ডন ঐতিহ্য ও ইতিহাসে মোড়া একটি শহর ছিল এবং ব্রিটিশদের কঠোর আচরণগত বৈশিষ্ট্য পর্যটক এবং দর্শকদের হৃদয় জয় করেনি। শহর পরিকল্পক এবং প্রশাসকরা অগ্রণী উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে লন্ডনকে আরো আধুনিক করার প্রচেষ্টায় উদ্যত হয়। বর্তমানে এই অত্যাশ্চর্য পর্যবেক্ষণ চক্র লন্ডনের আধুনিক রূপের এক প্রতীক।

 

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে, লন্ডন: ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে মূলত একটি গথিক গির্জা এবং এর পরিচয় একটি ক্যাথিড্রাল থেকেও অনেক বেশি, যা ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদের পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত। এটি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের রাজ্যাভিষেক এবং তার পাশাপাশি শেষকৃত্যের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে একটি অত্যাশ্চর্য স্থাপত্য বিস্ময় যা লন্ডন শহরের এক প্রধান গন্তব্য। এই অ্যাবে ১০৬৬ সাল থেকে ব্রিটেনের প্রতিটি রাজ্যাভিষেকের স্থান হয়ে এসেছে। বর্তমানে, এটি এখনো একটি গির্জা হিসেবে পরিবেশিত এবং লন্ডনের খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর এক সর্বাধিক জনপ্রিয় স্থান। তবে মনে রাখা উচিত, যে এই অ্যাবে একটি প্যারিস গির্জা বা একটি ক্যাথিড্রাল নয়, বরং এই দুয়ের সম্মিলন।

 

প্রায় তিন হাজার মানুষকে এখানে সমাধিত করা হয়েছে এবং এটি এক অন্যতম সম্মানিত সৌধ যেখানে “দ্য আননোন ওয়ারিয়র” কথাটি খোদাইকৃত করে লেখা রয়েছে। বিশেষত. লেডি চ্যাপেল অত্যন্ত চমৎকার এবং একটি অত্যাশ্চর্য পাখাযুক্ত ছাদ দ্বারা সুসজ্জিত। প্রখ্যাত ইতালীয় ভাস্কর পিয়েত্রো তরিগিয়ানোর চমৎকার কারিগরি সপ্তম হেনরির কবরে সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।

 

১৫৪০ সাল মধ্যযুগীয় মঠগুলোর পরমোন্নতির প্রত্যক্ষদর্শী। অবশ্যই ৯০০ বছর বয়সী ইতিহাসের মধ্যে এই অ্যাবে বহু সংস্কার এবং সম্প্রসারণের সাক্ষী হয়ে রয়েছে, কিš‘ মূল এলাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।

 

ট্রাফালগার স্কোয়ার, লন্ডন: ট্রাফালগার স্কোয়ার লন্ডনের বৃহত্তম স্কোয়ার এবং মধ্যযুগ থেকে লন্ডনের মানুষদের একটি প্রিয় স্থান হয়ে আসছে। সেই সময়ে এই স্থান চ্যারিং ক্রস নামে পরিচিত ছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে ট্রাফালগার স্কোয়ার টিউব স্টেশন ট্রাফালগার স্কোয়ার নামের পরিবর্তে এখনো চ্যারিং ক্রস নামে পরিচিত রয়েছে।

 

এই সুন্দর স্কোয়ার প্রাথমিকভাবে ব্রিটিশ নৌবাহিনীদের সম্মানে একটি স্মৃতিরক্ষাকারী স্কোয়ার ছিল, যারা এডমিরাল নেলসনের বিচক্ষণ নেতৃত্বাধীনে নেপোলিয়নদের পরাজিত করার জন্যে ১৮০৫ সালে ট্রাফালগারের এক কুখ্যাত কঠোর যুদ্ধে প্রাণ হারায়।

 

বর্তমান ট্রাফালগার স্কোয়ার বিখ্যাত নগর পরিকল্পক এবং স্থপতি চার্লস ব্যারির প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়। তিনি ‘চ্যারিং ক্রস উন্নয়ন প্রকল্প’ নিয়ে আবির্ভূত হন এবং এই এলাকাটিকে লন্ডনের সবচেয়ে চিত্রানুগ স্কোয়ারে রূপান্তরিত করেন, যেখানে উভয় লন্ডনের বসবাসকারী এবং বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীরা একটি আনন্দময় সুন্দর সময় অতিবাহিত করে থাকে।

 

সমারসেট হাউস: সমারসেট হাউস একটি নব্যশাস্ত্রীয় ভবন এবং সমারসেটের ডিউকের বাসভবন ছিল। উইলিয়াম চেম্বার্স বহুকাল আগে ১৭৭০ সালে এটি নির্মাণ করেন। এই ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যা দেখে মনে হয় চারটি প্রাসাদের একটি গু”ছ একই প্রাঙ্গণে রয়েছে।

 

অতীতে এই নব্যশাস্ত্রীয় প্রাসাদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসের আবাস্থল ছিল, যেমন- ব্রিটিশ নৌবাহিনী এবং রয়্যাল সোসাইটি, রয়েল একাডেমি অব আর্টস ও অ্যান্টিকুয়ারি সোসাইটি ইত্যাদির প্রধান কার্যালয়। তবে এই অসাধারণ প্রাসাদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংস্কার করা হয়েছে এবং বর্তমানে এখানে দুটি মিউজিয়াম ও তার পাশাপাশি একটি গ্যালারি অবস্থিত। বিশেষ করে এই গ্যালারির চত্বরটি লন্ডনের শিল্পকর্মের একটি সেরা সংগ্রহ। গিলবার্ট কালেকশন একটি আলঙ্কারিক শিল্পকর্মের মিউজিয়াম এবং অত্যন্ত পরিদর্শনযোগ্য।

 

সমারসেট হাউসের প্রাঙ্গণটি আগে পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হতো, যা এখন পরিবর্তন করা হয়েছে এবং তার জায়গায় একটি সুপরিকল্পিত ফোয়ারা স্থাপন করা হয়েছে। শীতকালে এই আঙ্গিনাকে একটি খোলা আইস-স্কেটিং রিঙ্কে রূপান্তরিত করা হয়। সমারসেট হাউসের প্রাঙ্গণটি একটি চমৎকার স্থান, যা বিশেষ করে গোধূলি আলোতে একটি খচিত রূপকথার দেশের মতো দেখায়।

 

টেমস নদী: লন্ডন শহরের ক্রমবর্ধমান বিস্ময়কর উন্নতির পেছনে টেমস নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মধ্যযুগের সময়কালে লন্ডন এক অন্যতম বিখ্যাত শহর ছিল এবং জাহাজ (নৌ-বাণিজ্য) দ্বারা তার সম্পদ বর্ধিত করতে থাকে, যা সারা বিশ্বে ভ্রমণ করতো এবং লন্ডন বন্দরের নোঙর ঘাঁটিতে ফিরে আসতো।

 

প্রাথমিকভাবে পরিবহন ও বিনোদনের জন্য এই নদী আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। টেমস নদী আমোদ-প্রমোদ এবং বাণিজ্যের এক নদী। আমোদ-প্রমোদ ও বিনোদনের একটি উৎস হিসোবে টেমস নদীর জনপ্রিয়তা ভিক্টোরিয়ান আমল থেকেই চলে আসছে এবং আনন্দময় সমুদ্র ভ্রমণের ধারণা একটি স্বতন্ত্র ভিক্টোরিয়ান কৌশল।

 

আপনি লন্ডনের এই নদীতে যে কোনো ক্রুজেই ভ্রমণ করুন না কেন আপনি একটি অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পাবেন, এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। এখানে বহু অসাধারণ ক্রুজ রয়েছে, তার মধ্যে কিছু হলো- সিটি ক্রুজ, ক্যাটামারান ক্রুজ ও সার্কুলার ক্রুজ। উদাহরণস্বরূপ ধরুন, ক্যাটামারান ক্রুজ, যা উভয় বৃত্তাকারভাবে সেইসাথে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ প্রদান করে। অন্যদিকে সার্কুলার ক্রুজ এমব্যাঙ্কমেন্ট জেটি থেকে প্রদান করে সেন্ট ক্যাথারিন জেটি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যায়, যার মধ্যে আপনি নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো অন্বেষণ করার সুযোগ পাবেন।

 

কেনসিংটন প্যালেস, লন্ডন: কেনসিংটন প্যালেস প্রায় ৩০০ বছরেরও অধিক সময়ের জন্য ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের আবাস্থল ছিল। এমনকি আজো এই প্যালেসের মধ্যে কিছু কক্ষ বর্তমান যা ব্রিটিশ শাসকদের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কেনসিংটন প্যালেস প্রয়াত রাজকুমারী ডায়নার বাসভবন ছিল। এই রাজকীয় প্রাসাদ রাণী ভিক্টোরিয়ার জন্মস্থান ছিল এবং তিনি কেনসিংটন প্যালেসেই বড় হয়ে উঠেছেন।

 

বর্তমানে শুধু ব্রিটিশ রাজবংশের বাসাস্থান হিসেবে এই মহৎ প্রাসাদ ব্যবহৃত হয় না, বরং এটি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রাসাদের আকর্ষণের মধ্যে রাজা ও রাণীর কক্ষ রয়েছে যেগুলো চমৎকারভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এই রাজকীয় কক্ষগুলো সুবিশাল, এগুলো অনন্য দেয়াল চিত্রকলা এবং রাজকীয় স্থাপত্য দ্বারা সুসজ্জিত। রাজাদের কক্ষগুলো যেমন ব্রিটিশদের বিলাসবহুল এবং ঐশ্বর্যশালী দিকগুলোকে প্রতিফলিত করে সেরকমই রাণীদের কক্ষগুলো ছিল অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সুন্দর। রাণীকক্ষে রাণী দ্বিতীয় মেরী দ্বারা ব্যবহৃত অধিকাংশ প্রকৃত আসবাবপত্র এখনো বিদ্যমান।

 

 

 

 

নিউইয়র্ক মেইল/ব্রিটেন/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম

উপরে