বিশ্বের দশ অবাক করা স্থান
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান কোনটি? এক বাক্যে বলা কঠিন। আমাদের এই পৃথিবীটা যে সত্যিই সুন্দর তা একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যায়। সেই আদ্যিকাল থেকেই কতোই না অবাক করা আশ্চর্য অদ্ভুত সব বিষয় আশয়, জিনিসপত্র পৃথিবীতে রয়েছে। এর কোনোটা প্রকৃতিই তার আজব খেয়ালে তৈরি করেছে আবার কোনো কোনোটি মানুষ তৈরি করেছে। শেষ কথা হলো, এসবের প্রত্যেকটিই মানুষের কাছে আজো বিস্ময়ের। এমনি দশটি অবাক করা স্থানের তথ্য তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে-
দ্য টুয়েলভ অ্যাপোস্টেলস, অস্ট্রেলিয়া: মাইক্রোসফটের ডেস্কটপ ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবিটি আগেই দেখেছেন। একবারও প্রশ্ন জাগেনি। এতো সুন্দর জায়গাটি কোথায়? এটা অস্ট্রেলিয়াতে, না দি টুয়েলভ এপোস্টেলস। বলা হয়ে থাকে প্রকৃতির চেয়ে বড় শিল্প নেই, আর এই শিল্পটাই তার প্রমাণ।
“এপোস্টেলস”র আভিধানিক অর্থ দূত কিংবা বার্তাবাহক”। প্রায় ২০মিলিয়ন বছর আগে ভিক্টোরিয়া স্টেটের পোর্ট ক্যাম্বেল ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি সমুদ্র সৈকতে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে অদ্ভুত ১২টি চুনাপাথর কিংবা লাইম-স্টোন স্ট্যাক। সোনালি-বাদামি রঙের ১২টি লাইম-স্টোন স্ট্যাকের মধ্যে এখন শোভা পাচ্ছে মাত্র ৭টি। সময়ের পরিক্রমায় বাকি ৫টি বিলুপ্ত হয়েছে- কিন্তু টুয়েলভ এপোস্টেলস’র নাম আগের মতোই রয়েছে। পাহাড়ের ওপর থেকে সমুদ্র সৈকতের দিকে তাকিয়ে দিনের শেষে রক্তিম আভায় সূর্যাস্তের অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে সৃষ্টিকর্তার বাণী প্রচারের জন্যে নির্বাচিত এপোস্টেলসরা বার্তাবাহকের আইকনিক রূপে দাঁড়িয়ে আছে।
লা রিভসে এক অন্যরকম স্বর্গীয় সুন্দর। আপনি স্বর্গ দেখতে পারবেন কিনা সেটা জানা নেই কারো। কিন্তু এই পৃথিবীর যা কিছু স্বর্গীয় সুন্দর তাতো দেখার চেষ্টা করতেই পারেন। স্কাই আইল্যান্ড হচ্ছে সেরকমই একটি সুন্দর স্থান। বিস্তৃত পর্বতমালা, জলপ্রপাত, নদী, নদীর দুধারে ফুলে ফুলে বেগুনী হয়ে থাকে পাহাড়ের সারি। এর সাথে তুলনা হয় না আর কোনো কিছুর। কুইলিন পর্বত থেকে উৎপন্ন নদীতে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে এই পুলগুলো। স্ফটিক স্বচ্ছ পুলের পানিতে সাঁতার কাটা একটি জনপ্রিয় কাজ এখানে।
ট্র্যাকিং করেও পাড়ি জমাতে পারেন বৃদ্ধ এই পাথরখন্ডগুলোর দিকে। সবুজ ও সুন্দর পাহাড়ের মাঝে আপনার এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হবে চিরদিনের মতো স্মরণীয়। অপূর্ব সুন্দর আকাশ, পাহাড়ের পর সাজানো পাহাড়, মন হয়তো বলবে এই পথ যদি না শেষ হয়। অবশ্য যদি কষ্ট সইতে পারেন। এখানে সূর্যাস্ত দেখুন পাহাড়ের চূড়া থেকে। যেন অপার্থিব সৌন্দর্যের বুনন। ধু ধু দিগন্ত প্রসারিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নয়, এই আইল্যান্ডে দেখা মিলবে প্রাচীন ইতিহাসেরও।
ডাখস্টাইন গ্লেসিয়ার ব্রিজ, অস্ট্রিয়া: যদি উচ্চতা আপনার জন্য কোনো সমস্যা না হয়। তবে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এক অসহ্য সুন্দর দৃশ্যমালা। সীমাহীন সৌন্দর্য্যরে দেশে কে না যেতে চাইবে। কিন্তু যাওয়ার জন্যতো জানতে হবে। হ্যাঁ, যদি কখনো অস্ট্রিয়াতে যান তবে ডাখস্টাইস গ্লেসিয়ার দেখতে ভুলবেন না যেন। ২ হাজার ৯৯৫ মিটার উচ্চতায় এর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্বত এবং একটি অত্যাশ্চর্য আলপাইনসারি আড়াআড়ি অভ্যন্তরে বিস্তৃত হয়ে আছে। গ্লেসিয়ার ব্রিজ থেকে অস্ট্রিয়া চেক রিপাবলিক ও স্লোভেনিয়া পিক ওপরের দৃশ্যগুলো দেখা যায়। এখানকার সৌন্দর্যের আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে ডাখস্টাইন সাসপেনশন ব্রিজ, আরো আকর্ষণ যেমন আকর্ষণ, স্কাই ওয়ার্ক, আইস প্রাসাদ ও শূন্য থেকে সিঁড়ি একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার গ্যারান্টি দেয়া যায়। এখানে ভ্রমণ করে আপনি পাবেন উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত, এমন একটি দৃশ্য সঙ্গে রোমাঞ্চ যা সারাজীবন মনে রাখা যাবে।
নামিব মরুভূমি যেখানে আটলান্টিকে মিশছে: মরুভূমির কথা মনে পড়লেই মনে ভেসে উঠে দিগন্তজোড়া বালুকারাশির মেলা। আর সাগর মানে অতলান্ত নীল জল যতোদূর চোখ যায়। আর এই দুয়ের মিলন হয়তো আপনার মনে হবে এক চলমান বাদামি সমুদ্র সৈকতের কথা। কিন্তু সব কল্পনাকে হার মানিয়ে নামির মরুভূমি আর আটলান্টিক মহাসাগরের মিলনে তৈরি হয়ে এক স্বপ্নরাজ্যসম প্রাকৃতির সৌন্দর্য্যরে ক্যানভাস। এই নামিব মরুভূমিকে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে লম্বা এবং আকর্ষণীয় সমুদ্রতটস্থ বালিয়াড়ির বাড়ি যার রঙ প্রগাঢ় গোলাপী থেকে কমলা।
এই সমুদ্রতটস্থ বালিয়াড়ির শুরু আটলান্টিক মহাসাগরের ডানপাশ থেকে। সাগরের হিম শীতল পানির অনবরত ঘর্ষণে নামিব মরুভূমির এই বালিয়াড়ি, যা পৃথিবীর মধ্যে চমৎকার এক দর্শনীয় স্থান। শত শত মাইল বিস্তৃত সমুদ্র সৈকতে আকর্ষণীয় এই সমুদ্রতটস্থ বালিয়াড়ি যা দেখাজন সারা দুনিয়া থেকে লোকেরা ছুটে যায় আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া। এখানকার সুয়াকোপমুন্ড যা নামিবিয়ার সুয়াকূপ নামে পরিচিত। সুয়াকোপমুন্ড হলো নামিবিয়ানদের অবকাশযাপনের জন্য যা সবচেয়ে বড় সমুদ্র শহর। একসময় নামিবিয়া জার্মানদের অধীনে ছিল তাই এই শহরের বাড়িঘর সবই জার্মান ধাঁচে তৈরি।
দ্য মুনব্রিজ, তাইওয়ান: শিল্পীর কল্পনা আর কবির কবিতা কতো সুন্দর হতে পারে আর কতোটা সুন্দরতম হতে পারে আধুনিক এনিমেশন চিত্র। সব কল্পনাকে হার মানিয়ে বাস্তব হয়ে এসেছে তাইওয়ানে দি মুন ব্রিজ। চাঁদে যাওয়ার ব্রিজ নয়। যেন রূপকথার গল্পের চাঁদে জিন-পরীদের দেশের এক অনিন্দ্য সুন্দর ব্রিজ। কাঠের সেতুটি অনেকটা বৃত্তচাপের মতো দেখতে। কিন্তু পানিতে যখন এর ছায়া পড়ে, তখন দুটি বৃত্তচাপ এক হয়ে চাঁদের আকৃতি নেয়, যেখান থেকে এর নাম হয়েছে মুন ব্রিজ বা চাঁদসেতু।
তাইওয়ানকে পশ্চিমারা বলে সুন্দর দ্বীপ নামে। সর্বোচ্চ তিন হাজার মিটার উচ্চতাসম্পন্ন ২০০টি পাহাড় বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বীপটির সুন্দরের কথা লিখে প্রকাশ করার মতো নয়। এখানে প্রাকৃতিক অপরূপ রূপের সাথে যুক্ত কৃত্রিম এক সুন্দর রেখা। তাই সৌন্দর্য যেন এখানে এসে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। তাইপের দাহু যার অর্থ বড় খাল। এই দাহু পার্কের অন্যতম সৌন্দর্য কাঠের তৈরি মুন মুন ব্রিজটি তৈরি হয়েছে আরো পরে ১৯৯১-৯২ সালে।
দ্য হোয়াইট ক্লিফসঅবডোভার, ইংল্যান্ড: সমুদ্র উপকূল পাশেই সবুজ দিগন্তজোড়া মাঠ। এই দুয়ের মাঝখানে মাঝারি উচ্চতার খাড়ি। সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেঙে রয়েছে তার ধার। সাদা চুনের মতো ধার চলে গিয়েছে দৃষ্টিসীমা পেরিয়ে দূর বহুদূরে। সমুদ্র প্রণালীটি ইংলিশ চ্যানেলের পূর্বপ্রান্তের সবচেয়ে সরু অংশটি গঠন করেছে। প্রণালীর সবচেয়ে সরু অংশটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ ফোরল্যান্ড এবং ফ্রান্সের কাগ্রিনের মধ্যে অবস্থিত এবং প্রায়য় ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার জন্য সাঁতারুরা এই সরুতম পথটিই ব্যবহার করে থাকেন।
দ্য ট্রোলসটাং, নরওয়ে: দূরের এক দেশ। সেখানে পাথুরে পাহাড়ি পথ। রয়েছে ধারে ধারে স্বচ্ছ লেকগুলো। খড়খড়ে পাহাড়ের ভেতর যেন ভিনগ্রহের পটআঁকা এই বিচিত্র সুন্দরের খেলা। পাহাড়ি পাথুরে পথ বেয়ে ১২ কিলোমিটার গেলে দেখতে পাবেন জিভ বের করে ভেংচি কাটছে পাহাড়। আহা! সুন্দরের কি ব্যাকরণ আছে। এই দৃশ্যও কি সুন্দর হতে পারে। শুধু সুন্দর নয়। পৃথিবীর অসহ্য সুন্দরগুলোর একটি এই ট্রোলস টাং।
শব্দের অর্থ হলো দানবের জিহ্বা। প্রাচীন বিশ্বাস থেকেই এ ধরনের নাম। একটি পাহাড় থেকে অনুভূমিকভাবে জুটিং শিলাবেষ্টিত ছোট একটি টুকরা হ্রদের পাশে উত্তরদিকে ওপরে ৭০০ মিটার বা ২ হাজার ৩০০ ফুট ওপরে। পাহাড়ের গা থেকে বের হওয়া জিহ্বা আকৃতির প্রস্তরখন্ড, যা ট্রোলস টাং নামে পারিচিত। ঐড়ৎফধষধহফ কাউন্টি নরওয়ের ঙফফধ পৌরসভা হয়ে ওখানে যেতে হয়। শত বাধা থাকলেও সৌন্দর্যপিয়াসীরা আর বসে নেই। আপনি যেতে পারেন যদি অ্যাডভেঞ্চার আপনার প্রিয় হয়।
মেলিসানিকেভ, কেফালোনিয়া (গ্রিস): ভাবছেন কত কিছুই না দেখা হলো। পাহাড়, ঝরনা, পাহাড়, মরুভূমি, লেক হ্রদ দ্বীপ আর প্রণালী। কিন্তু এমন কোনো স্থান কি আছে, যা এক পাহাড়ি গর্তের গভীরে। কয়েক মিটার নিচে এক অগভীর স্বচ্ছ পুকুর। তার পাশে ছোট ছোট গাছপালা। গুহামুখের মতো খোলা মুখ। নিচেই কূপের মতো পানি চারদিকে আবার কিছুটা কোটরাগত। পাশে একটা পাড়ি। চোখে না দেখলে প্রথমত বিশ্বাস করাই কঠিন হবে, যে এমন একটি জায়গা পৃথিবীতে রয়েছে।
মেলিসানি কেভ লেক আসলে মাটির নিচে নদী। এটি একটি ভূগর্ভস্থ লেক, ১৯৫৩ সালে এই লেকের একটি ছাদের অংশ ভূমিকম্পে ভেঙে যাওয়াতে এই অনিন্দ সুন্দর কেভ তৈরি হয়। আপনি যদি রোমাঞ্চপ্রিয় হন, তাহলে গুহার ফাঁকা অংশ দিয়ে নেমে যেতে পারেন নিচে। আশপাশের প্রকৃতির রূপ ভুলিয়ে দেবে আপনার এই কষ্ট। সমগ্র জার্ডিনই সবুজ পাহাড়ে পরিবেষ্টিত, যা চোখকে দেয় আরাম, মনকে করে আন্দোলিত।
মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো, তানজানিয়া: প্রতি বছর ৪০ হাজারেরও বেশি পর্যটক এই পাহাড় চড়েন। আলাদা করে বলার প্রয়োজন হবে না কেন। মাইলের পর মাইল দূর থেকে এই দৃশ্য দেখলে যে কেউ মোহিত হবেন। মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো, ওরফে “আফ্রিকার ছাদ” বা “দ্য রুফটপ অব আফ্রিকা” হলো একটি যৌগিক সুপ্ত আগ্নেয়গিরি, যা পূর্ব আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। এটি “আফ্রিকার সাতটি প্রাকৃতিক বিস্ময়”-এর এক অন্যতম হিসেবে গণ্য হয়। কিলিমাঞ্জারো জাতীয় উদ্যান, আগ্নেয়গিরি স্তূপ পর্বতটির সংরক্ষণ ও প্রতিরক্ষা করে। পর্বতটি বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদকুল ও প্রাণিকুলসহ পরিপূর্ণ। অনেক বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এই উদ্যানে রয়েছে। এই পর্বতমালার সৌন্দর্য অন্য যে কোনো পর্বতশ্রেণী থেকে আলাদা। এখানেই আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
কিলিমাঞ্জারো নামটি রহস্যে মোড়ানো। অর্থ হলো গরিমাময় পর্বত। একে মাউন্টেন অব গ্রেটনেস, আলোর পর্বত বা মাউন্টেন অব লাইট ও ক্যারাভেনের পর্বত বা মাউন্টেন অব ক্যারাভেনও বলা হয়। বাংলাদেশের পর্বতারোহী ওয়াসফিয়ার নাজনীন এই পর্বত চূড়ার শীর্ষে উঠেছেন।
ইস্টার আইল্যান্ড ও তার আজব মূর্তি: হাজার বছর পরও ইস্টার দ্বীপের অদ্ভুত মূর্তিগুলোর রহস্য জানা যায়নি। প্রশান্ত মহাসাগরের জনমানবহীন এ দ্বীপটিতে রয়েছে অনেক ভাস্কর্য। পাথরের তৈরি এসব ভাস্কর্য দ্বীপের চারদিকেই ছড়িয়ে রয়েছে, ইস্টার দ্বীপের মূর্তিগুলো সবই তৈরি হয়েছে বিশাল পাথর কেটে। দ্বীপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ- সাতটি বৃহদাকার ভাস্কর্য। যাদের বলা হয় ‘নেভল অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। দ্বীপটিতে এরকম প্রায় হাজারখানেক ভাস্কর্য রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষায় বলা হয় মোয়াই। একেকটি ভাস্কর্য ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট। একেকটি ভাস্কর্যের ওজন ২০ টনেরও বেশি। ১৭৭২ সালে কোনো এক ইস্টার সানডে উৎসবে অ্যাডমিরাল জ্যাকব রগেউইন দ্বীপটি আবিষ্কার করেন। ডাচ এই অভিযাত্রীই দ্বীপটির নাম দেন ‘ইস্টার আইল্যান্ড’।
আবার অনেকে মনে করেন, দ্বীপটিতে বাইরের জগত থেকে অভিবাসীরা বাস করে গেছে। গবেষকদের প্রশ্ন- এই দ্বীপবাসীরা সেই কৌশল শিখলো কিভাবে? পাথরগুলোই তারা বয়ে আনলো কিভাবে এবং কোথা থেকে? এসবের উত্তর এখনো খুঁজছে বিশ্লেষকরা। কে তৈরি করলো মূর্তিগুলো? কেউ জানে না। এই জনবিরল দ্বীপে কেনইবা এসব ভাস্কর্য তৈরি করা হলো, সেটাও অজানা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
নিউইয়র্ক মেইল/ঢাকা অফিস/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম