ইরানকে অভিযুক্ত না করে বরং ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধ করুন : রুহানি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে বরং ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধ করুন।
তিনি বলেন, দোষারোপের রাজনীতি বাদ দিয়ে ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। পাশাপাশি তিনি ইয়েমেনের বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেন।
নেদারল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগরিদ কাগের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রুহানি এসব কথা বলেন।
ইরানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সিগরিদ বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরান এসে পৌঁছান।
ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ নাকচ করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে ভুল এবং ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ চলমান সংকট সমাধানে কোনা ভূমিকা রাখবে না। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, এ ধরনের অভিযোগ বাদ দিয়ে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ ও সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং ত্রাণ সরবরাহ করা জরুরি।
আঞ্চলিক দেশগুলোর কাছে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির প্রতিও সুইজারল্যান্ডের মনোযোগ আকর্ষণ করেন হাসান রুহানি। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের দেয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের শিশুদের হত্যার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রুহানি পরমাণু সমঝোতা প্রসঙ্গে বলেন, কেউ এ সমঝোতার মধ্যে নতুন করে কিছু যোগ করতে পারে না আবার কেউ ইচ্ছা করলেই এ সমঝোতা বাতিল করতে পারবে না। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য পক্ষ সমঝোতা বাতিল না করবে ততক্ষণ ইসলামি প্রজাতন্ত্র এ সমঝোতাকে সর্বাত্মকভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করে যাবে এবং অবশ্যই ইরান আগে এ সমঝোতা বাতিল করবে না।
ইরান ও নেদারল্যান্ডের সম্পর্ক নিয়ে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, দু দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১০০ কোটি ইউরোতে পৌঁছেছে যা আরো বাড়ানো সম্ভব। তিনি নেদারল্যান্ড বিভিন্ন কোম্পানিকে ইরানের নানা প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য স্বাগত জানান। ইরানের সঙ্গে ব্যাংকিং সম্পর্ক জোরদার করার জন্যও তিনি নেদারল্যান্ড সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে সিগরিদ কাগ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরমাণু সমঝোতার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে এ সমঝোতা। তিনি বলেন, আস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অভিন্ন স্বার্থের জায়গাগুলোতে ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকা জরুরি। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, তার দেশ তেহরানের সামরিক ও প্রতিরক্ষা অধিকারকে স্বীকার করে এবং এ ধরনের কর্মসূচিকে বৈধ বলে মনে করে।
নিউইয়র্ক মেইল/ইরান/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম