পারভেজ মোশাররফকে গ্রেপ্তার করতে আদালতের নির্দেশ
পাকিস্তানের বিশেষ আদালত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক পাকিস্তানী সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়কে।
পেশোয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি, লাহোর হাইকোর্টের ইয়াওয়ার আলী এবং বেলুচিস্তান হাই কোর্টের বিচারক তাহিরা সফদার এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এসময় আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়কে যুক্তরাজ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোশাররফের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় ব্যখ্যা দিয়েছে যে, শুধু বিদেশী সম্পত্তি নয় এমনকি মোশাররফের সম্পত্তির বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রেও রয়েছে আইনি বাঁধা। পাকিস্তানে অবস্থিত মোশাররফের সম্পত্তিগুলোর সহ অংশীদারিত্ত্ব দাবী করেছেন তার স্ত্রী শেহবা মোশাররফ, কন্যা আয়লা রাজা এবং তার আরেক আত্মীয় হিদায়েতুল্লাহ খেসগি।
এ সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আকরাম শেখের কাছে আদালত জানতে চান মোশাররফের অনুপস্থিতেতে তার বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কিনা, যেহেতু ইত্যোমধ্যেই তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছেন।
জবাবে কৌঁসুলি আকরাম শেখ আদালতকে জানান, ২০১৪ সালেই সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করেছে বাদীপক্ষ। কিন্তু সাড়ে চার বছরের অধিক সময় ধরে মুলতবি থাকা আদালতের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হলে মোশাররফের সশরীরে উপস্থিত থাকা জরুরী।
এ প্রসঙ্গে তিনি ২০১৬ সালে দেয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করেন। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া ওই রায়ে, আসামির অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে বিচারকার্য পরিচালনা না করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
বিশেষ আদালতের প্রধান ইয়াহিয়া আফ্রিদি জানান যে, শুধুমাত্র মোশাররফের আত্মসমর্পণ বা গ্রেফতারের পরেই আদালত তার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, এর প্রেক্ষিতেই আদালত পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়কে সাবেক এই স্বৈরশাসককে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন। ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারী করে মোশাররফ সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এই অভিযোগে তার বিচারকার্য চলছে পাকিস্তানের এই বিশেষ আদালতে।
সূত্র : দ্যা ডন
নিউইয়র্ক মেইল/পাকিস্তান/১০ মার্চ ২০১৮/এইচএম