শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর শ্রীলঙ্কায় আগাম ভোটে বড় জয় পেল বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়ার জোট নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 16 March, 2018 13:38

পরমাণু বোমা তৈরির হুমকি সৌদি আরবের

পরমাণু বোমা তৈরির হুমকি সৌদি আরবের
যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান
মেইল ডেস্ক :

বলা হচ্ছে বর্তমানে সৌদির সকল কিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান। এছাড়া আধুনিক সৌদি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন যুগান্তকারী পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছেন তিনি। তাকে সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো নেতা বা অনানুষ্ঠানিক সরকার প্রধানও মনে করা হয়। এবার পরমাণু বোমা বানানোর ইচ্ছা পোষণ করলেন প্রভাবশালী এই সৌদি যুবরাজ।

সরকারি সফরে এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সালমান। এ সময় মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানান মোহাম্মাদ বিন সালমান।

তবে পরমাণু বোমা বানানোর ক্ষেত্রে তিনি ইরানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যদি ইরান পরমাণু বোমা বানায় তাহলে আমরাও তা বানাবো।

সালমান বলেন, সৌদি আরব কখনোই পরমাণু বোমা বানাতে চায় না। কিন্তু সন্দেহ নেই, যদি ইরান এ কাজটি করে তাহলে আমরাও তা করবো।

এছাড়া তেল শক্তির উপর চাপ কমাতে প্রাথমিকভাবে মধ্যম মেয়াদের দুটি পারমাণবিক কেন্দ্র বানাবে সৌদি। ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ১৬টি বেসামরিক পারমাণবিক কেন্দ্র বানাবে সৌদি যাতে ১৬ গিগাহার্টজ পারমাণবিক শক্তি উৎপাদিত হবে।

আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার লড়াই নতুন নয়। এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে দুই দেশ কার্যত এক ধরনের ছায়যুদ্ধে লিপ্ত। ১৯৭৯ সালে ইরানে সংঘটিত ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই ইরানকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে সৌদি আরব। 

এর মধ্যেই তুরস্ক ও কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে রিয়াদ। ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি জোট। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে সৌদি আরবের ক্ষমতাবলয় এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ নিয়ে দেশটির অস্বস্তি পরিষ্কার হয়েছে মোহাম্মদ বিন সালমানের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের নব্য হিটলার’ বলার কারণও ব্যাখ্যা করেন সৌদি সিংহাসনের এই উত্তরাধিকারী।

তিনি বলেন, ‘তিনি (খামেনি) মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রকল্প সৃষ্টি করতে চান, যা হিটলার তার সময়ে করতে চেয়েছিলেন অনেকটা সেইরকম। ইউরোপ ও বিশ্বের অনেক দেশই প্রকৃত ঘটনা ঘটার আগে বুঝতে পারেনি হিটলার কতোটা বিপজ্জনক ছিল। আমি মধ্যপ্রাচ্যে সেই একইরকম জিনিস ঘটুক তা দেখতে চাই না।’

যুক্তরাষ্ট্রে ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব ১৯৮৮ সালে পরামণু অস্ত্র নিরোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এ পর্যন্ত তারা পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের চেষ্টা করেছে কিনা সে ব্যাপারে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

তবে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নে সৌদি আরব অর্থ বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে।

উপরে