রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ান সম্মেলনে চাপের মুখে সু চি
আসিয়ান সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপের মুখে পড়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশ রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত এই জোটের তিন দিনের সম্মেলনের সমাপনী দিন রোববারে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে।
আসিয়ানের শেষ দিনের সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, ‘রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছি। অং সান সু চি দীর্ঘ আলোচনার পর এ বিষয়ে বলেছেন, এটা আলোচনা করার মতোই একটি ইস্যু এবং এটা নিয়ে কথা বলা যৌক্তিক, বেশ গঠনমূলক।’
সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্বে থাকা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে মিয়ানমারের প্রতিবেশি দেশগুলো বেশ উদ্বিগ্ন। তবে তারা রাতারাতি কোনো ফলাফলের জন্য জোর খাটাচ্ছে না। এটা আসিয়ানভুক্ত সব দেশের জন্যই উদ্বেগজনক। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আসিয়ানের পক্ষ থেকে কোনও হস্তক্ষেপ করা বা ফলাফলের জন্য জোর খাটানো সম্ভব হয়নি।
সংকট উত্তরণে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজতে সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে এবং বাস্তুচ্যুত লোকজনকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে বলে উল্লেখ করেছেন টার্নবুল ও লি সেইন। দশ জাতির জোট আসিয়ান ঐকমত্যের কূটনীতি ও পারস্পরিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির কারণে নিজেদের নিয়ে গর্বিত। সে কারণেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা কোনো হস্তক্ষেপ করছেন না। তবে দেশটি নিজে থেকেই এ বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শীর্ষ নেতারা।
এদিকে শনিবার সু চির ওপর চাপ প্রয়োগের কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। এর ফলে ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের দিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ১০ দেশ নিয়ে গঠিত আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো হলো ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। ১৯৭৪ সাল থেকে জোটটির আলোচনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
সূত্র: চ্যানেল নিউজ এশিয়া