শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর শ্রীলঙ্কায় আগাম ভোটে বড় জয় পেল বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়ার জোট নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 18 March, 2018 23:56

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ান সম্মেলনে চাপের মুখে সু চি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ান সম্মেলনে চাপের মুখে সু চি
মেইল ডেস্ক :

আসিয়ান সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপের মুখে পড়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশ রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত এই জোটের তিন দিনের সম্মেলনের সমাপনী দিন রোববারে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। 

আসিয়ানের শেষ দিনের সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, ‘রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছি। অং সান সু চি দীর্ঘ আলোচনার পর এ বিষয়ে বলেছেন, এটা আলোচনা করার মতোই একটি ইস্যু এবং এটা নিয়ে কথা বলা যৌক্তিক, বেশ গঠনমূলক।’

সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্বে থাকা সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে মিয়ানমারের প্রতিবেশি দেশগুলো বেশ উদ্বিগ্ন। তবে তারা রাতারাতি কোনো ফলাফলের জন্য জোর খাটাচ্ছে না। এটা আসিয়ানভুক্ত সব দেশের জন্যই উদ্বেগজনক। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আসিয়ানের পক্ষ থেকে কোনও হস্তক্ষেপ করা বা ফলাফলের জন্য জোর খাটানো সম্ভব হয়নি।

সংকট উত্তরণে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজতে সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে এবং বাস্তুচ্যুত লোকজনকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে বলে উল্লেখ করেছেন টার্নবুল ও লি সেইন। দশ জাতির জোট আসিয়ান ঐকমত্যের কূটনীতি ও পারস্পরিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির কারণে নিজেদের নিয়ে গর্বিত। সে কারণেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা কোনো হস্তক্ষেপ করছেন না। তবে দেশটি নিজে থেকেই এ বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শীর্ষ নেতারা।

এদিকে শনিবার সু চির ওপর চাপ প্রয়োগের কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। এর ফলে ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের দিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
 
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ১০ দেশ নিয়ে গঠিত আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো হলো ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। ১৯৭৪ সাল থেকে জোটটির আলোচনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

সূত্র: চ্যানেল নিউজ এশিয়া

উপরে