অবশেষে শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা পাঠাচ্ছে কানাডা
দুই বছরের বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আফ্রিকার দেশ মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ৬টি হেলিকপ্টার ও আড়াইশ সহায়ক সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছে কানাডা। এতদিন মিশনে সেনা না পাঠানোয় দেশটির প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল তার মিত্ররা।
কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিত সাজ্জান জানান, মালির ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাদের সুবিধার জন্য কানাডা দুটি চিনুক পরিবহণ হেলিকপ্টার ও যুদ্ধের জন্য চারটি গ্রিফন হেলিকপ্টার প্রেরণ করবে। পরিস্থিতির কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডার সরকারি সূত্র থেকে জানা যায়, সেখানে ১২ মাসের জন্য সেনা মোতায়েন করবে কানাডা।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিশটিয়া ফ্রিল্যান্ড সাংবাদিকদের জানান, তারা মালিতে পরিস্থিতির জটিলতা ও সমস্যাগুলো সম্পর্কে সচেতন রয়েছেন। তারা অনেক চিন্তা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে এই মিশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানায়, ২০১৩ সালে মালিতে মোতায়েন করা ১৫৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন। যা বিশ্বের ইতিহাসে শান্তিরক্ষী মিশনে সবচেয়ে প্রাণহানির ঘটনা। এই মাসের শুরুতেও সেন্ট্রাল মালিতে রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর চার সদস্য নিহত হন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উদারবাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে পরিকল্পনার কথা বলেছিল এই ঘোষণায় তা পূরণ হয়নি। ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর মালিতে ৬শ সেনা পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ট্রুডোর সরকার। পরবর্তীতে হতাহতের আশঙ্কায় মন্ত্রীরা পরিকল্পনাটি স্থগিত করেন।
এতে কানাডার মিত্ররা বেশ রাগান্বিত হয়ে পড়ে। এছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির অস্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়।
তবে সোমবারের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে কূটনীতিকরা বলেছেন, এর মাধ্যমে কোনও প্রকার বাধা ছাড়াই শান্তিরক্ষী কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যাবে।