এবার ফেসবুকের বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের তথ্য হাতানোর অভিযোগ
অনুমতি ছাড়া কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ফেসবুক তথ্য চুরি করেছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। সেই তথ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে ব্যবহার করে জনমতকে প্রভাবিত করেছে ব্রিটিশ সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, ব্রেক্সিটের সময়ও জনমতকে প্রভাবিত করতে সেই তথ্যকে কাজে লাগানো হয়।
সুতরাং ফেসবুক তার ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে এখন আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির বিরুদ্ধে এবার আরও বড় অভিযোগ উঠল।
আরস টেকনিকার এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ফেসবুক অনেক দিন ধরেই ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে ফোন কল ও এসএমএসগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছে।
তবে ফেসবুক পুরোপুরি ঘটনাটি অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। ফেসবুক বলছে, ব্যবহারকারী যতটুকু অনুমতি দেয়, ঠিক ততটাই তথ্য সংগ্রহ করে ফেসবুক। অনুমতির বাইরে কোনো কিছু ঘটেনি।
তথ্য বেহাতের এই ঘটনায় এখন কাঠগড়ায় ফেসবুক। বিশ্বজুড়ে কড়া সমালোচনার মুখে ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ফেসবুক সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এসব ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও গোপনীয়তা রক্ষায় আরও সচেষ্ট থাকার।
তিনি বলেন, এটি একটি মারাত্মক বিশ্বাস ভঙ্গের ঘটনা। আমি সত্যিই দুঃখিত। মানুষের তথ্য নিরাপদে রাখাটা আমাদের মৌলিক দায়িত্ব।
তবে, তাতেও খুব একটা রক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার ৩ দিনের মাথায় শেয়ার বাজারে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার হারিয়েছে ফেসবুক। শুরু হয় ডিলিট ফেসবুক নামে হ্যাশট্যাগ আন্দোলনও।