মিয়ানমারে সু চির আজ্ঞাবহ প্রেসিডেন্ট
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট বুধবার দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উইন মিন্টকে নির্বাচিত করেছে। পার্লামেন্টের উভয়কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সু চির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টি তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে।
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত মিন্ট পার্লামেন্টে ৬৩৬টি ভোটের মধ্যে ৪০৩টিই পেয়েছেন। এদিকে কবে নাগাদ তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে পারেন।
অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রায় দুই বছর বয়সী সরকারে সু চি নির্বাহী বিভাগের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন। তবে মিন্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় দেশটির জটিল রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
এনএলডি’র একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। আগের প্রেসিডেন্টের অধীনে যে নীতি ছিল সেটিই বহাল থাকবে।
গত ২১ মার্চ ‘বিশ্রামের’ জন্য প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেন সু চির বিশ্বস্ত সহযোগী ও তার সাবেক ড্রাইভার থিন কিয়াও। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৩ মার্চ) মিয়ানমার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার পদ থেকে সরে দাঁড়ান উইন মিন্ট। তখনই ধারণা করা হচ্ছিলো তিনিই হচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্র ও সরকারের প্রধান। কিন্তু ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে সু চি দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী হিসেবে থাকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াওয়ের মর্যাদা ছিল আলঙ্কারিক।