শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 5 April, 2018 13:55

স্বামীর খোঁজে হেঁটে ১০০ কিলোমিটার

স্বামীর খোঁজে হেঁটে ১০০ কিলোমিটার
মেইল রিপোর্ট :

লি ওয়েনজু`র স্বামী ওয়াং কুয়ানঝ্যাং ছিলেন একজন আইনজীবী। পুলিশী নির্যাতনের বেশ কিছু মামলা তিনি দেখছিলেন। তিনি বলেছেন, তার স্বামীকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী আটক করেছে তিন বছরের বেশি সময় আগে। এরপর থেকে তিনি আর তার কোনো খোঁজই পাচ্ছেন না। এমনকি তার স্বামী জীবিত আছে কি-না তাও নিশ্চিত নন তিনি।

ওয়েনজু এখন জানতে চান, আসলে তার স্বামীর ভাগ্যে কী ঘটেছে। আর সে কারণে তার স্বামী ওয়াং কুয়ানঝ্যাং যেখান থেকে আটক হয়েছিলো সেই তিয়ানজিন শহর অভিমুখে বেইজিং থেকে পদযাত্রা শুরু করেছেন তিনি। স্বামীর খবর পেতে এ যাত্রায় তার হাঁটার কথা রয়েছে অন্তত একশ কিলোমিটার বা ৬২ মাইল।

ওয়াং ২০১৫ সালে দেশব্যাপী পরিচালিত এক অভিযানের সময় আরও অন্তত দুশো অধিকার কর্মীর সঙ্গে আটক হন। ওই অভিযানটি পরিচিত হয়ে উঠেছিলো `৭০৯` অভিযান হিসেবে। কারণ জুলাইয়ের নয় তারিখে সেটি শুরু হয়েছিলো। আর অভিযানে যারা আটক হয়েছিলো তাদের অনেককেই বড় অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিলো চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

লি এখন তার ১২ দিনের পদযাত্রা করছেন কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ তৈরির জন্য যাতে করে তিনি জানতে পারেন, তার স্বামীর ক্ষেত্রে আসলে কী হয়েছে। তার সন্দেহ, তার স্বামীকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। একজন নির্দোষ মানুষকে এভাবে আটক করা এবং এক হাজার দিন ধরে বন্দী রাখা- আমি মনে করি এটি একটি নিষ্ঠুরতা। এটা নির্দয় ঘটনা।

লি এ পদযাত্রায় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন আরও একজন নারীকে, যার স্বামীও একজন অধিকার কর্মী এবং তাকেও কারাদণ্ড দিয়েছিলো কর্তৃপক্ষ।

উপরে