শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 20 April, 2018 17:53

আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আরও শরণার্থী নেবে জার্মানি

আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আরও শরণার্থী নেবে জার্মানি
মেইল রিপোর্ট :

উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ১০ হাজার শরণার্থীকে নেবে জার্মানি। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছে বার্লিন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিবাসন কমিশনার দিমিত্রিস আভ্রামোপুলোস বৃহস্পতিবার দেশটির নতুন এ সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক স্তরে সংহতির প্রশ্নে আবারও এগিয়ে এসেছে জার্মানি৷ যেসব শরণার্থীর পুনর্বাসন প্রয়োজন, তাদের আইনসম্মত এবং সুশিক্ষিত পথে ঠাঁই দেয়া ইইউ প্রকল্পের লক্ষ্য৷ এর আওতায় ২০১৯ সালের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার উদ্বাস্তুকে অসুরক্ষিত স্থান থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জায়গা করে দেয়া হবে৷

জার্মানির পাশাপাশি অন্যান্য দেশও ৪০ হাজার শরণার্থীকে জায়গা করে দেবে৷ ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

শরণার্থীদের জন্য খরচ বাবদ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন দেশকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো অর্থসাহায্য দেবে৷ ২০১৫ সালে জার্মানিতে থাকার জন্য আবেদন করেছিলেন ১০ লাখ মানুষ৷ ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী জার্মানিতে এসেছেন সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরিত্রিয়া থেকে৷ জানাচ্ছে জার্মানির অভিবাসন ও উদ্বাস্তু দফতর৷

ইউরোপীয় কমিশন এরই মধ্যে জার্মানির কাছে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছে৷

দিমিত্রিস বলেন, আমাদের দ্রুত শেঙেনব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে৷ যদি শেঙেনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তা হলে সেটি হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৃত্যু৷

ইউরোপের শেঙেন দেশগুলোর মধ্যে বিনা ভিসায় সফরের সুবিধা রয়েছে৷ কিন্তু জার্মানি অস্ট্রিয়ার সঙ্গে তাদের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে৷ সম্প্রতি জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার জানান, অস্ট্রিয়া সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ সেহোফারের দাবি, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সীমান্তে ঠিকঠাক নজর রাখা হয় না৷ বৃহস্পতিবারও দিমিত্রিসের সঙ্গে সেহোফারের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে৷

এদিকে জার্মানি উদারতা দেখালেও অস্ট্রিয়া শরণার্থীদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে৷ বুধবার অস্ট্রিয়া সরকার একটি বিল এনেছে, যাতে বেআইনিভাবে অস্ট্রিয়ায় বাস করা শরণার্থীদের দেশে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে৷ এমনকি প্রয়োজনে শরণার্থীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার সংস্থান রাখা হয়েছে নতুন বিলে৷

উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুৎর্সের রক্ষণশীল দল ও তাদের জোটসঙ্গী অতি দক্ষিণপন্থী ফ্রিডম পার্টি বেআইনি অভিবাসন রোখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল৷

অনেক শরণার্থী এসেছে জার্মানিতে৷ অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ শরণার্থী নিতে নারাজ৷ এ অবস্থায় ইইউর সব সদস্য দেশকে কোটা অনুযায়ী শরণার্থী নিতে হবে– এমন দাবি জানিয়েছিল জার্মানি৷ মঙ্গলবারের বৈঠকে দাবি পূরণ হয়েছে৷

সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে ভাগ করে দেয়া হবে৷ জার্মানি নেবে ৩১ হাজার ৪৪৩ জন৷ বছর শেষে জার্মানিতে আগত মোট শরণার্থী ৮ লাখে হয়ে যেতে পারে৷

নতুন বিলটি পার্লামেন্টে পাস হলে শরণার্থী হওয়ার খরচ বাবদ ৮৪০ ইউরো দিতে হবে আবেদনকারীকে৷ দেখা হবে তার কোনো অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা৷ যদি তিনি ইউরোপের অন্য কোনো দেশে প্রথম এসে থাকেন, তাকে সেই দেশেই পাঠিয়ে দেবে অস্ট্রিয়া৷

দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হার্বাট কিকল জানান, তারা যতটা সম্ভব কঠোর শরণার্থী নীতি তৈরি করছেন৷ ২০১৫ সালে দেড় লাখ আবেদন আসে অস্ট্রিয়ার কাছে, যা ৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশের জনসমষ্টির ১ দশমিক ৭ শতাংশ৷

শরণার্থীরা অপরাধ করলে দ্রুত তাদের অস্ট্রিয়া থেকে বহিষ্কার করা নতুন বিলের গুরুত্বপূর্ণ দিক৷ অপরাধী নাবালক হলেও ছাড় পাবে না৷ শরণার্থীরা ছয় বছর অস্ট্রিয়ায় থাকলে নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতেন৷ তা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হচ্ছে৷ ২০১৬ থেকে শরণার্থীর সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে অস্ট্রিয়া৷ ২০১৮ সালে মাত্র ৩০ হাজার শরণার্থীকে জায়গা দেয়া হবে সে দেশে৷

উপরে