শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 25 April, 2018 14:19

রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশের পরিবার বিপাকে

রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশের পরিবার বিপাকে
গ্রেফতার মিয়ানমারের পুলিশ কর্মকর্তা মোয়ে ইয়ান নাইং
মেইল ডেস্ক :

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার তথ্য সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে ফাঁস হওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়েছে মিয়ানমারের পুলিশ কর্মকর্তা মোয়ে ইয়ান নাইংয়ের পরিবার।

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সঙ্গে তাকেও গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পর তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তার স্ত্রী দাও তু তু।

তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর বেতনের টাকায় তাদের সংসার চলত। চার মাস ধরে তার বেতন বন্ধ। এর মধ্যে তাদের পুলিশ কমপ্লেক্সের বাসা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার মিয়ানমারের আদালতে সাক্ষ্য দেন পুলিশ ক্যাপ্টেন মোয়ে ইয়ান নাইংয়ের স্ত্রী দাও তু তু।

তিনি বলেন, রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াউ সোয়ে ওকে আটক করার জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশ। এর মূল চক্রান্তকারী হলেন পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তিন কো কো।

গত ১২ ডিসেম্বর দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মোয়ে ইয়ান নাইংকেও গ্রেফতার করা হয়।

রয়টার্সের দুই সাংবাদিক রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনারা যে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গাকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছিল তা তদন্ত করছিলেন।

এ ঘটনা জানতে পেরে তাদের উপনিবেশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেসি আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে পুলিশ ক্যাপ্টেন নাইংকে গ্রেফতার করা হয় দুই সাংবাদিকের কাছে গণহত্যার নথি ফাঁস করার অভিযোগে।

মান্দালায়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী দাও তু তু বলেন, আমার স্বামী দুই সাংবাদিককে কোনো ডকুমেন্ট দেয়নি। ব্রিগেডিয়ার কো কো আমার স্বামীকে বলিরপাঠা বানিয়েছেন। সে নিরপরাধ।

আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার ক্যাপ্টেন নাইংয়ের পরিবারকে পুলিশ কমপ্লেক্সের বাসা থেকে চলে যাওয়ার নোটিশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে দাও তু তু বলেন, এখন কোথায় যাব আমি জানি না। আমার পরিবার জীবন ধারণের জন্য স্বামীর রোজগারের ওপর নির্ভর করছে। চার মাস ধরে তার বেতন বন্ধ রয়েছে।

‘নিরপরাধ’ স্বামীর প্রতি সুবিচার করতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মাইন্ত ও স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দাও তু তু।

উপরে