মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ১২ থেকে ১৪ মে
দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি অশান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে আরব বসন্ত এবং সৌদি যুবরাজের উত্থানের পর পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠেছে।
তবে আগামী ১২ থেকে ১৪ মের মধ্যে ইরান, ইরাক ও ফিলিস্তিন নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আগামী দিনে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে।
১২ মে ছয় জাতিগোষ্ঠীর পরমাণু সমঝোতা:
ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যে সমঝোতা চুক্তি রয়েছে, তা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আগামী ১২ মে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প চুক্তি বাতিল করলে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নতুন মোড় নিতে পারে।
তবে ট্রাম্প ছাড়া এই চুক্তি আর যারা রয়েছেন তারা সবাই চুক্তি অব্যাহত রাখার পক্ষে। গত মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্র সফর করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চুক্তি বাতিল না করাতে চেষ্টা করেন।
১২ মে ইরাকে জাতীয় নির্বাচন:
জঙ্গি সংগঠন আইএস (দায়েশ) ইরাক দখলে নিয়ে নিজেদের খেলাফল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রেখেছিল কয়েক বছর।
আইএস এর হাত থেকে ইরাক উদ্ধার করার পর দেশটিতে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামী ১২ মে ইরাকের সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সঙ্গত কারণেই নির্বাচনটি ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রদায়িকতা এবং অযোগ্যতাকে দায়ী করে থাকে।
১৪ মে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তর:
মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে দীর্ঘদিনের বড় সংকট ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট। ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
উভয়পক্ষের দাবিকৃত এই শহরে দূতাবাস নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সংগত কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেরুজালেমের ওপর ইসরাইলের কোনো একক অধিকার নেই। তবুও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র যারা অবৈধভাবে দখলকৃত জেরুজালেমকেই ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দূতাবাস স্থানান্তর করতে যাচ্ছে।