শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য পুনর্স্থাপনে চিন্তিত ভারত নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 27 May, 2018 13:43

সিরিয়ায় পুনর্বাসনের নামে হরিলুট

সিরিয়ায় পুনর্বাসনের নামে হরিলুট
মেইল ডেস্ক :

সিরীয় যুদ্ধে বিধ্বস্ত এলাকার অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তোলা হবে শুনে ওই সব স্থান থেকে বিদেশে শরণার্থী হওয়া সিরীয় নাগরিকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। পাশে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোও আশঙ্কায় রয়েছে যে, সিরিয়ায় পুনর্বাসনের নামে সম্পত্তি লুটপাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, নতুনভাবে অবকাঠামো নির্মাণের নামে সিরীয় সরকার তাদের সম্পত্তি নিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে আশ্রয়দাতা দেশগুলো ভাবছে, সিরিয়ায় থাকা সম্পত্তি যদি না থাকে তাহলে শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর সম্ভাবনা প্রায় শূন্য হয়ে যাবে।

গত মাসে দামেস্কর কাছে থাকা বিদ্রোহীদের ঘাঁটি উচ্ছেদ করার পর পুরো পশ্চিম সিরিয়া আসাদ বাহিনীর দখলে চলে যায়। এরপরই ‘ল টেন’ নামের একটি আইন কার্যকরের কথা ঘোষণা করা হয়। 

ওই আইনে বলা হয়, পুনর্গঠনের কাজ করা হবে এমন এলাকাগুলোতে থাকা সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করতে পারলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে খুব কম মানুষই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের মালিকানা স্বত্ব প্রমাণ করতে পারবেন।

স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা সিরীয়দের সামনে এখন বড় একটি সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে- তারা কি সিরিয়ায় ফেরত যাবেন ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য, নাকি শরণার্থী শিবিরেই থেকে যাবেন। সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে গেলে তাদের সিরিয়ায় ফেরত যাওয়ার আর কোনো বিশেষ আগ্রহ থাকবে না। 

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে বলা হয়, ‘যদি বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় আইনটি বলবৎ হয়, তাহলে ওই এলাকাগুলো ছেড়ে যারা শরণার্থী হয়েছে তারা আর সিরিয়ায় ফিরে যাবে না। 

তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ এর বিরোধিতা করেছেন। তার ভাষ্য, আইনটির অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে, যাতে করে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা সিরীয়দের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা যায়।

উপরে